উদ্যোক্তা
রংপুরে চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষে সফল আবুল কালাম
পরিশ্রমের তুলনায় বেতন কম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ উদ্যোগে মাশরুম চাষ করে এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের প্রাণনাথ চর এলাকার উদ্যোক্তা মোঃ আবুল কালাম। এক সময় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন সেখানে পরিশ্রমের তুলনায় বেতন কম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ উদ্যোগে মাশরুম চাষ শুরু করেন তিনি।

পরিশ্রমের তুলনায় বেতন কম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ উদ্যোগে মাশরুম চাষ করে এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের প্রাণনাথ চর এলাকার উদ্যোক্তা মোঃ আবুল কালাম। এক সময় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন সেখানে পরিশ্রমের তুলনায় বেতন কম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ উদ্যোগে মাশরুম চাষ শুরু করেন তিনি।
সম্প্রতি প্রাণনাথ চর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আবুল কালাম তার নিজ বাড়ির আঙিনায় একটি ঘরের মাঝে সাজিয়েছেন মাশরমের র্যাক। বাঁশের মাঝে সারি সারি ঝুলানো রয়েছে মাশরুমের প্যাকেট। প্যাকেট ভেদ করে বের হওয়া মাশরুমগুলো দেখতেও বেশ চমৎকার। তার সহধর্মিনী ছাড়াও ৬ থেকে ৭ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করার পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণেও আবুল কালাম রাখছেন বিশাল ভূমিকা। বর্তমানে ঝুলানো রয়েছে বেশ কিছু প্যাকেট।
কাউনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের আন্তরিক প্রচেষ্টা পাশাপাশি সঠিকভাবে মাশরুম চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তার এই পথচলা। মূলত নিজের ইচ্ছে শক্তি আর কৃষি অফিসের উৎসাহে মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাশরুম চাষ শুরু করে বলে জানান আবুল কালাম। ২০২১ সাল থেকে তিনি মাশরুম চাষ করছেন।
আবুল কালাম বলেন, ২০২১ সালে গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষের পরিকল্পনা করেন। পরে মাগুরায় মাশরুম চাষের উপর একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই সালের নভেম্বর মাসে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাড়িতে এসে মাত্র ২০টি স্কল দিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। ২০২৪ সালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ঢাকা মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে একটি প্রশিক্ষণে পাঠায়। প্রশিক্ষণ শেষে ৩ লাখ টাকা দেয় বিভিন্ন উপকরণ কেনার জন্য। বর্তমানে তার সব মিলে প্রায় ৪শ স্কল আছে। রংপুর অঞ্চলে মাশরুমের তেমন চাহিদা না থাকায় প্রতিদিন ৫ কেজি করে মাশরুম তুলে বাজারজাত করেন বলে জানান আবুল কালাম। প্রতি কেজি পাইকারী দরে বিক্রি হয় তিনশত টাকায়। তিনি বলেন, বাজারে মাশরুমের চাহিদা বাড়লে উৎপাদ বাড়বে। তখন হয়তো অনেক টাকা আয় করা যাবে।
কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ তানিয়া আক্তার জানান, আবুল কালাম একজন ভালো উদ্যোক্তা। মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট চোবহানবাগ সাভারে সে মাশরুম চাষের উপর উন্নতর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছে। মাশরুম চাষের চাষ প্রণালী সে হাতে কলমে শিখেছে। তার মাধ্যমে পিউর কালচার, মাদার কালচার ও বাণিজ্যিক স্পুন তৈরী করবে। আবুল কালামের মাঝে দেখছেন তিনি প্রচুর সম্ভবনা। তাই তাকে একটি ইনকুলেশন ঘর, চাষ ঘর, ভেন গাড়ি, স্টেরিলাইজেশন চেম্বার দুটি ঘর দেয়া হবে। যাতে থাকবে নজেলের মাধ্যমে স্প্রে সিস্টেমসহ বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।