DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

শিল্প ও বাণিজ্য

মহেশখালী-কুতুবদিয়া ফোরামের ১২ দফা দাবি

লবনের কৃষক ঠকে মাঠে আর ভোক্তারা ঠকে হাটে: হামিদুর রহমান আজাদ

জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে মহেশখালী-কুতুবদিয়া ফোরাম এর উদ্যোগে কৃষক ও ভোক্তা পর্যায়ে “লবণ এর ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, লবন চাষীদের ন্যায্য অধিকার আদায়, দেশের প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদা দেখিয়ে অসাধু সিন্ডিকেট কর্তৃক অপ্রয়োজনীয় লবন আমদানী নিষিদ্ধকরণ, কার্যকরী লবন বোর্ড গঠন’সহ লবন শিল্পকে বাঁচনোর দাবীতে” সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী কুতুদিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ।

অনলাইন ডেস্ক
p8e

মহেশখালী-কুতুবদিয়া ফোরাম এর উদ্যোগে আজ শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে কৃষক ও ভোক্তা পর্যায়ে “লবণ এর ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, লবন চাষীদের ন্যায্য অধিকার আদায়, দেশের প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদা দেখিয়ে অসাধু সিন্ডিকেট কর্তৃক অপ্রয়োজনীয় লবন আমদানী নিষিদ্ধকরণ, কার্যকরী লবন বোর্ড গঠন’সহ লবন শিল্পকে বাঁচনোর দাবীতে” সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী কুতুদিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ।

সংগঠনের আহ্বায়ক এ এম শহীদুল এমরান এর সভাপতিত্বে সমাবেশ ও মানববন্ধনটি জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সাবেক সিআইপি আব্দুস সুক্কুর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, কক্সবাজার জেলা লবণ চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জাকের হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমির খসরু, সহিদুল ইসলাম, ⁠ইঞ্জিনিয়ার মঈনুদ্দিন জাহাঙ্গীর, শিক্ষাবিদ মোঃ নাছির উদ্দীন, মাসুদুর রহমান, আমীর খসরু, কবি মনির ইউসুফ, মুসলিম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আশরাফ উল্লাহ খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আসিফ হাসনাত শুভ প্রমূখ।

সমাবেশ ও মানববন্ধনে কক্সবাজার জেলার প্রান্তিক অঞ্চলের লবন চাষী, লবন ব্যবসায়ী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি লবন চাষীদের ১২ দফা ন্যায্য দাবী বাস্তবায়নের জোর দাবী জানিয়ে বলেন, লবনের কৃষক ঠকে মাঠে আর ভোক্তারা ঠকে হাঠে। যেই লবন চাষীর কেজিপ্রতি বিক্রি করে ৫/৬ টাকা সেই লবন আমাদের খুচরা বাজার হতে ক্রয় করতে হয় ৪০/৪৫ টাকায়। অবিলম্বে লবনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চমূল্য নির্ধারন করতে হবে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে কার্যকরী লবণ বোর্ড এবং লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট গঠণ করে লবণের মূল্য ও মান নিশ্চিত করতে হবে এবং মাট পর্যায়ে লবণের উৎপাদন খরচ কমাতে হবে ।

বক্তারা ১২ দফাদাবীর পক্ষে বক্তব্য রেখে বলেন, প্রায় ৯৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয় কক্সবাজার জেলায় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, পেকুয়া, চকরিয়া উপজেলায় এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। গত মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় দেশীয় উৎপাদিত লবণ দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি অর্থবছরে আরও ২ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া ভালোভাবেই চলছে। প্রায় ৬৫ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়, যা ক্রমান্বয়ে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় লবণ শিল্পের সাথে ৬৫ হাজার চাষিসহ ১০ লাখ মানুষ লবণ শিল্পের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

লবণ চাষিদের দাবি, মাঠ পর্যায়ে লবণের উৎপাদন ভালো থাকা সত্ত্বেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। লবণ মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম কমিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন ।মাঠ পর্যায়ে বর্তমানে লবণ মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা। অথচ এক মণ লবণের উৎপাদন খরচ ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। লবণ মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে দেশীয় লবণ শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণের নাম দিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে লবণ আমদানি বন্ধ করতে হবে।

যদি লবণ চাষীদের যুক্তিসঙ্গত দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে ।