বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর প্রধান কার্যালয়ের সেমিনার হলে গতকাল ‘‘২০২৫-২৬ বিতরণ বর্ষে আমন ধানবীজ বিক্রি ত্বরান্বিত, গতিশীল এবং সমুদয় বীজ বিক্রির কৌশল ও করণীয় পদক্ষেপ’’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরস্থ বিভিন্ন উইংয়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। বীজ বিতরণ বিভাগের অতিরিক্তি মহাব্যবস্থাপক মোঃ সেলিম হায়দার কর্মশালায় কবু ঘড়ঃব চধঢ়বৎ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালাটি উদ্বোধনপূর্বক প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্থার চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. রুহুল আমিন খান বলেন যে, দেশের কৃষি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিএডিসি একটি সম্পদ এবং বিএডিসি’কে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বিএডিসি ফসল উৎপাদনের মুখ্য তিনটি উপকরণই যথা: বীজ, নন ইউরিয়া সার এবং ক্ষুদ্রসেচ সুবিধাদি কৃষকদের দোড়গোড়ায় যথাসময়ে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে। বীজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, বিএডিসি’র বীজ গুণে ও মানে সর্বোৎকৃষ্ট এবং কৃষক পর্যায়ে বিএডিসি’র বীজ অত্যন্ত সমাদৃত। ফসল উৎপাদনে কৃষকরা বিএডিসি’র বীজের বিকল্প কোন কিছুই গ্রহণ করতে চান না। তবে সারা দেশের কৃষকদের সমূদয় চাহিদা অনুযায়ী বিএডিসি’র মাধ্যমে বীজ উৎপাদন কার্যক্রম সম্ভবপর হয়না। প্রতি মৌসুমে বীজ উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে। বীজের চাহিদা সুনিদিষ্টভাবে নির্ধারণপূর্বক উৎপাদিত বীজের গুণগতমান আরও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি তৎপর হওয়ার পাশাপাশি সমূদয় বীজ বিক্রির ক্ষেত্রে কর্মকৌশল ও পদক্ষেপ গ্রহণে জোরালো গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে সরবরাহের ক্ষেত্রে যাতে কোনরূপ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয় এবং সকল মৌসুমে কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্যে বীজ প্রাপ্তিতে সক্ষম হয় এবং বীজ প্রাপ্তিতে কৃষকরা যাতে কোনরূপ হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

বিএডিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজধানীর মিরপুরস্থ বিএডিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫। ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন বিএডিসি’র চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মোঃ রুহুল আমিন খান। সকাল ৮.২৫ মিনিটে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। দিনব্যাপী বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বিএডিসি বলেন, লেখাপড়া ও খেলাধুলা একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে বলেন যে, ভাষা আন্দোলন হতে শুরু করে অদ্যাবধি প্রতিটি ক্ষেত্রে ছাত্রদের ভূমিকা অগ্রগণ্য ও অনস্বীকার্য। সর্বশেষ পর্যায়ে দেশে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে সেখানেও মূল কারিগর ছাত্ররা। তিনি উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন যে, এই ইতিহাসকে তোমাদেরকে অন্তরে গেঁথে রেখে সুষ্ঠু দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। সকল ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আরও সোচ্চার ও সুসংগঠিত হতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় নিয়োজিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।