ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষ করেছেন ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, একজন গুন্ডাকে এক ইঞ্চি ছাড় দিলে, সে এক মাইল নিয়ে নেয়। একইসঙ্গে তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র একটি বক্তব্য শেয়ার করেন, যেখানে বলা হয়েছে, শুল্ককে রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার জাতিসংঘের সনদ ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়ম লঙ্ঘন করে—এটি অজনপ্রিয় এবং দীর্ঘস্থায়ীও নয়।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চলছিল। তবে কৃষি ও দুগ্ধ খাত যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত না হওয়ায় এবং ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখায় আলোচনায় অগ্রগতি থেমে যায়। এরপর ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর দুই ধাপে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। প্রথম ধাপ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হবে ২৭ আগস্ট।
এদিকে, ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনের ওপরও বাড়তি শুল্ক বসানো হতে পারে। তার ভাষায়, হতে পারে, আমি জানি না। আমরা ভারতের ক্ষেত্রে এটি করেছি, হয়তো আরও কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রেও করব—চীনও হতে পারে।
রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় তিনটি আমদানিকারক দেশ হলো ভারত, চীন ও তুরস্ক। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকারকদের ‘পরোক্ষ শুল্ক’ দিতে হবে।
চলতি বছরের শুরুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্কবিষয়ক উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসায়, জবাবে চীনও ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
বছরের শেষ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে। একই সময়, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরে যেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ওই সফরে তার সঙ্গে শি জিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র : ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস