শীতের আগমনী বার্তায় স্বস্তি ফিরছে সবজির বাজারে। গত কয়েক মাসের চড়া দামের পর এখন অনেকটাই কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন সবজির দাম। বিক্রেতারা বলছেন, শীত পুরোপুরি নামলে দাম আরও কমে আসবে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি, বহদ্দারহাট ও চকবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনায় সবজির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে এসেছে।

বাজারে মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, ফুলকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আর শিম এখনও কিছুটা বেশি দামেÑ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, কচুরমুখী, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়ো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশি গাজর ১৪০, চায়না গাজর ১২০, দেশি শসা ৭০ থেকে ৮০, করলা ও কাঁকরোল ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স, পটল ও বরবটি ৭০ টাকা, কচুর লতি ৬০ ও কচুরমুখী ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, লাউ ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চালকুমড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে কচুশাক ৪০, মিষ্টিকুমড়া শাক ৫০, পুঁইশাক ৪০ এবং লালশাক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, আর কাঁচামরিচ ২৬০ টাকায়। প্রাণিজ খাদ্যের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, সোনালি ৩৫০, কক ২৬০ থেকে ২৯০, লেয়ার ২৮০ থেকে ৩০০ এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকায়। গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকায়, আর খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকায়। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১৩৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারেও স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। বাগদা চিংড়ি কেজি ৯০০, গলদা ৮৫০, ছোট চিংড়ি ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় রুই ৪৫০ থেকে ৫৮০, কাতলা ৩৬০ থেকে ৪৫০, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২৫০, পাবদা ৪০০, রূপচাঁদা ৮৫০ এবং টেংরা মাছ ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

চকবাজারের বাজারে সবজি কিনতে আসা ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন বলেন, “দুই একটি সবজি বাদে এখন বেশিরভাগ সবজির দাম অনেকটা কমে এসেছে। আগে যেগুলো ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে কিনতে হতো, এখন ৪০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শীত ঘনালে দাম আরও কমবে বলে আশা করছি।” সবমিলিয়ে শীতের আগমনে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে ফিরেছে খানিকটা স্বস্তিÑভোক্তাদের মুখে তাই এখন হাসির ছোঁয়া।