নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে। আলু ছাড়া সবকিছুর দাম বেড়েছে। সকল প্রকার সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০টাকা বেড়েছে। পেঁয়াজের দামও কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগী, লেয়ার মুরগী, ডিম ও মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। অবিলম্বে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য বাজার মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জানিয়েছে ভোক্তারা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম বেড়েছে। এসব বাজারে বেগুন প্রকারভেদে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা ও পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে করলা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান গাজর ১৪০ টাকা, দেশি শসা ১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারে লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনেপাতা ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, কাঁকরোল ৮০ টাকা, মুলা ৬০ ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক আঁটিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা ও ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ৩৭০ টাকা ও সোনালি হাইব্রিড মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে ইলিশের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ইলিশ ১৬০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ১৩০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ৯০০ টাকা, ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, এক কেজি শিং চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি প্রতিকেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা ও পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গরুর গোশত কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার গোশত ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির গোশত কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে আদার দাম চড়া দেখা গেছে। দেশি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চায়না আদা ২৬০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা ও ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা ও ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।
বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।