নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা থামছেই না। অধিকাংশ সবজির দাম বেশি। সবজির বাজারে স্বস্তি নেই। আলু ছাড়া প্রায় সব সবজির দামই বেশী। অপরদিকে পেয়াঁজের আমদানি হয়েছে। নতুন পেঁয়াজও আসতে শুরু করেছে। তবে দামে এর প্রভাব পড়েনি বললেই চলে। এখনও পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে পুরোনো ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। এর মধ্যে ছোট পেঁয়াজ ১৪০ টাকা ও বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে। মানভেদে নতুন ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা করে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে। নতুন আলু ৪০ টাকা, পুরাতন লাল আলু ২৫ টাকা, সাদা আলু ২৫ টাকা, বগুড়ার আলু ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা, চায়না রসুন ১৭০-১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০-২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মান ভেদে ১৫০-১৬০ দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঊর্ধমুখী সবজির বাজারে এখনও স্বস্তি ফেরেনি। কিছু কিছু সবজির দাম কমলেও বাজারে সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির সুবাতাস আসেনি। এখনও সবজির দাম ঊর্ধমুখী। বাজারে প্রতি কেজি দেশি টমেটো ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, দেশি গাজর ৬০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, শিম (প্রকারভেদে) ৬০-১২০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৮০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১০০ টাকা, পটল (হাইব্রিড) ৮০ টাকা, দেশি পটল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মূলা ২৫-৩০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ১০০-১২০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-১০০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, ব্রকলি ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা। এছাড়া, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা করে।
সবজির দাম নিয়ে বিক্রেতা মো. শাহ আলম বলেন, সবজির দাম এখন পড়ন্ত (কমে যাচ্ছে)। সামনে আরও কমে যাবে। এখন সবজিরই সিজন, দামতো কমবেই। তবে এখন যেসব সবজির সিজন নাই সেগুলোর দাম একটু বেশি থাকবেই।
এদিকে বাজারে বয়লার ও কক মুরগির দাম বাড়তে শুরু করছে। শীত আসছে অনুষ্ঠান বাড়বে, থার্টি-ফাস্ট নাইট আসবে...এসব কারণে দাম বাড়তে পারে আগেই বলেছিল বিক্রেতারা। মূলত সেভাবেই দাম বাড়তে শুরু করেছে।
বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজিতে। বয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা, কক মুরগি ২৪০-২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭৩-২৮৫ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১১০ টাকা এবং সাদা ডিম ১০০ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেখা গেছে, গতকাল প্রতি কেজিতে বয়লার মুরগির দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে সাত টাকা, কক মুরগির দাম বেড়েছে ২-১০ টাকা। তবে লেয়ার মুরগির দাম কমেছে ৫-১৫ টাকা। এছাড়া অন্যান্য গোশত ও ডিমের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ৮০০-৩০০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০-১৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১৪০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, বেলে মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, মেনি মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি প্যাকেট পোলাওয়ের চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাওয়ের চাল মান ভেদে ৯০-১৩০ টাকা, ছোট মসুর ডাল ১৫৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেশারি ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাশকালাইয়ের ডাল ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০-১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা, খোলা চিনি ৯৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৩০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এলাচি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোল মরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।