গাইবান্ধা পৌরসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক বাজার হকার্স মার্কেট। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু বাজারে নির্দিষ্ট সেড থাকলেও যত্রতত্র পশু-প্রাণী জবাই করায় এবং বর্জ্য পদার্থ ফেলে রাখায় দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশ দূষিত হয়ে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। ভুক্তভোগী আলম মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ থেকে জানা যায়, গাইবান্ধা পৌরসভার হকার্স মার্কেটে মুরগী ব্যবসায়ীরা রাস্তা বন্ধ করে মুরগী জবাই করে রক্ত, নাড়িভুড়ি ও মলমুত্র যত্রতত্র ফেলে রাখে। ফলে দুর্গন্ধের কারণে বাজারে জনসাধারণ প্রবেশ করতে নাক চেপে ধরতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে দিনদিন বাজারে লোক সমাগম কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দুর্গন্ধের কারণে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে চা স্টল, হোটেলসহ খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। অথচ ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে মুরগী সেড নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলো মুরগী ব্যবসায়ীরা ব্যবহার না করায় অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরফলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি বাজারের পরিবেশও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠছে।
এদিকে জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, হকার্স মার্কেটে ড্রেনের ওপর খাসি জবাই করে রক্ত, ভুড়ি, মলমূত্র ফেলায় ড্রেনের পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খাসি জবাইয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করায় অনেক কসাই রোগাক্রান্ত ও অপরিণত বয়সী পশু জবাই করছে। এমনকি ভেড়া জবাই করে তা খাসির মাংস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। অথচ প্রতিদিন পশু জবাইয়ের আগে পৌরসভা থেকে যাচাই-বাছাই করে জবাইয়ের উপযোগীর সিল দেয়ার কথা। কোনো জবাবদিহিতা না থাকার ফলে কসাইরা ইচ্ছামত রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে বিক্রি করছে। এর ফলে ভোক্তারা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন তেমনি নানা রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌর প্রশাসক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মুরগী ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনাও হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের আগেই সব সমস্যার সমাধান করা হবে।