বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথেই পাহাড়ে আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতে বাজারে সবজি তুলে ভালো দাম পাওয়ার আশায় দিনরাত পরিশ্রম করছেন তারা। অনুকূল আবহাওয়া এবং গত বছরের লাভের অভিজ্ঞতায় এবারও বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। মাঠের পর মাঠ এখন মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, শিম ও টমেটোর সবুজ চারায় ভরে উঠছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী চাম্বল, জলদী, বৈলছড়ি,সাধনপুর,কালীপুর, পুইছড়ী ইউনিয়ন পাহাড় ঘেরা হওয়ায় এখানে প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়। গন্ডামারা, কাথারিয়া ইউনিয়নে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলেও টমেটো, আলু, মরচি, শিম ইত্যাদি চাষ হয়।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে বাঁশখালীতে ৪ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে প্রায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে, যেখান থেকে প্রায় ২০ হাজার ৯২৫ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
উপজেলার পূর্ব জলদীর সবজি চাষি মোবারক আলী জানান, গ্রীষ্মকালীন সবজির মৌসুম প্রায় শেষ। শীতের মৌসুমের শুরুতে যদি ফসল আনা যায় তাহলে বাড়িতে দাম পাওয়া যায়। এই মৌসুমে ভালো ফলন হলে গত মৌসুমে বৃষ্টির কারণে নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন শীতের সবজিতেই ভরসা। তিনি জানান, ১০০ শতাংশ জমিতে মুলা,বাঁধাকপি, ফুলকপি চাষে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও বাজার ভালো পেলে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রির আশা করছেন।
একই গ্রামের আরেক চাষি আবু আহমদ বলেন, বাড়িতে দাম পেত ভাদ্র মাস থেকে প্র¯‘তি নিতে হয়। ইতোমধ্যে তিনি ৬০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি আর মূলা রোপণ করেছেন পাশাপাশি আলুর রোপণ করার চেষ্টা করছেন। বাজারে এরই মধ্যে আগাম জাতের শিম, মুলা ও বিভিন্ন ধরনের শাক উঠতে শুরু করেছে। মৌসুমের শুরুতে সবজি তুলতে পারলে দাম ভালো পাওয়া যায়।