দেশের শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত কমছে লেনদেনের গতি। গতকাল সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন কমে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। এতে দেড় মাসের মধ্যে সব থেকে কম লেনদেনের ঘটনা ঘটেছে। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ঢালাও দরপতনসহ টানা চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারের দরপতন হলো। আর শেষ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরতপন হয়। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৬৮টির স্থান হয় দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমে ৩০৬টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় ৪ দশমিক ৫০ গুণ বেশি প্রতিষ্ঠান ছিল। অন্যভাবে বলা যায়, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসও শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। কয়েক দফায় সূচকের উত্থান-পতন হয়। তবে লেনদেনের শেষদিকে ঢালাও দরপতন হয়। এতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়। ডিএসইতে দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৩টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।