গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনের উত্থানে ভালো সপ্তাহ কেটেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। এতে বেশিরভাগ কোম্পানির বেড়েছে সূচক, শেয়ারের দাম এবং সামগ্রিক লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পুরো সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২৪ পয়েন্ট। ৫৩৫০ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেনে শুরু হয়ে সপ্তাহ শেষে সূচক বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৪ পয়েন্ট।

উত্থান হয়েছে ডিএসই'র বাকি দুই সূচকেও; বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট এবং শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট।

সপ্তাহ জুড়ে লেনদেনে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ২৪১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১২৯ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এক সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৩১ শতাংশ। ৬৮৯ কোটি টাকার গড় লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৯০৭ কোটি টাকা। বাজার ভালো করায় আস্থা ফিরে পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা, বেড়েছে বাজার মূলধন। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।

মিউচুয়াল ফান্ড, টেলিকম, চামড়া শিল্প এবং পর্যটন খাত ছাড়া সবকটি খাতে দাম বেড়েছে শেয়ারের। বিশেষ করে ব্যাংকখাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, লেনদেন বেড়েছে ১৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ, লেনদেন বেড়েছে ২৬ শতাংশ। সাধারণ বীমাখাতে উত্থান হয়েছে ৮৬ শতাংশ এবং জীবন বীমা খাতে উত্থানের পরিমাণ ৩ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ঢাকার বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বেক্সিমকো ফার্মা, তৃতীয় ওরিয়ন ইনফিউশন। শীর্ষ পাঁচে আছে সিটি ব্যাংক এবং বিচ হ্যাচারি।

সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৫২ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে বেশিরভাগের। ১৯২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১১০ কোম্পানি। দামে পরিবর্তন আসেনি ১৬ কোম্পানির শেয়ারের।