টানা সাত দিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বাজারে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইসি ৭ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৮ কোম্পানির, কমেছে ১৫৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং বি ক্যাটাগরিতে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, কমেছে জেড ক্যাটাগরিতে।
সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেয়া এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২২০ কোম্পানির মধ্যে ১০৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৯১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩৩ কোম্পানির ১৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে ওরিয়ন ফিউশন।
সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে ডিএসইতে ৭০৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যা ছিল ৭০৪ কোটি টাকা।
৯ শতাংশের ওপর দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে হাওয়া ওয়েল টেক্সটাইল এবং ৫ শতাংশের ওপর দর কমে তলানিতে এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতোই উত্থানের মুখ দেখলো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ১৯৭ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯১, কমেছে ৭৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে সিএসইতে, যা গতদিন ছিল ৯ কোটি টাকা।
৮ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে ফরচুন শুজ এবং ১০ শতাংশ দাম কমে তলানিতে আইসিবি ইমপ্লোইস প্রোভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান।