চার মাস পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এতে দেশের খোলা বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভারতীয় চালবোঝাই ৯টি ট্রাক বন্দরের ৩১ নম্বর ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ এ বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়।

আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। চাল আমদানিতে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসবে।

বেনাপোলের চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাজী মুসা করিম অ্যান্ড সন্স'র স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন মোটা চাল আমদানি করেছি।

চালের এই চালান রাতেই বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। চাল ছাড়করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্ট্রি জমা দেওয়া হয়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে আরও চালবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করার শেষ সময় ছিল। সারা দেশের মতো বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা চাল আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আমরা বেনাপোল স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছি। আমদানির অনুমতিপত্র বা আইপি পাওয়ার পর অনেকে এলসি খুলেছেন যার বিপরীতে বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির অনুমতিপ্রাপ্ত আরও আমদানিকারকরা পর্যায়ক্রমে এলসি খুলছেন। ফলে আগামী রবিবার থেকে চাল আমদানি বাড়তে পারে।

চাল আমদানির ফলে দেশের বাজারে চালের দাম কমে আসবে। কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা দাম কমে যাবে। ভালো মানের চিকন জাতের চাল ৬৭ থেকে শুরু করে ৭০ টাকার মধ্যে থাকবে। মোটা স্বর্ণা জাতের চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে থাকবে।