‘আমরা যারা জীবনের শেষ অধ্যায় অতিক্রম করছি তারা দুনিয়া থেকে বিদায়ের আগে এই আস্থা এবং প্রশান্তি নিয়ে যাচ্ছি আমরা যখন থাকব না, তখনও ইসলামী আন্দোলন থাকবে; থাকবে আরো কয়েকগুণ বেশি শক্তি নিয়ে। তাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে তাদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে সিজদারত অবস্থায় দোআ করি আল্লাহ যেন তাদেরকে এই দ্বীনের আন্দোলনকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর তৌফিক দান করেন। তাদেরকে এ যুগের শ্রেষ্ঠ মর্দে মুমিন, মর্দে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করেন, কবুল করেন তাঁর প্রিয় বান্দা হিসেবে।’

আজ থেকে ঠিক একযুগ আগে ২০১৩ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় একটি লেখায় এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছিলেন শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। জীবনের শেষ সময়ে এসে বলেছিলেন, তার শাহাদাতের মধ্য দিয়ে বিজয়ের সূচনা হবে।

শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী একটি জীবন, একটি ইতিহাস। আল্লাহ প্রদত্ত এক বিস্ময়কর প্রতিভা। ব্যক্তিগত জীবনে স্বচ্ছ চিন্তা, সরল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত, নরমদিল ও অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী, অত্যন্ত ভদ্র-নম্র, মার্জিত, পরিশীলিত, মৃদুভাষী এক অসাধারণ ইসলামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর এবং বাংলাদেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন একজন বিজ্ঞ আলেম, ইসলামী চিন্তাবিদ, সুলেখক, ইসলামপ্রিয় জনগণের রুহানি উস্তাদ ও বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ। ২০১৫ সালে আমেরিকার বিখ্যাত সংস্থা “দ্য রয়েল ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার” প্রকাশিত তালিকায় বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।

২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবরের পল্টনের সেই ভয়াল দিনে মাওলানা নিজামী যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন পল্টনে চলছিল যুদ্ধাবস্থা। তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে শান্তভাবে তার বক্তব্য চালিয়ে গিয়েছেন। একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে এখনও তার সুললিত, শান্ত চিত্তের সেই বক্তব্য কানে বাজে। বার বার বলছিলেন শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। নেতা কর্মীদের বার বার নির্দেশ দিচ্ছেন সবাই যাতে শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে। সেদিন জামায়াত-শিবিরের শত শত নেতাকর্মী হতাহত হলেও মাওলানা নিজামীর ধৈর্য্য ধরার কঠোর নির্দেশ তারা পালন করে। একজন নেতার কঠোর দূর্যোগ মুহুর্তেও ঠায় দাঁড়িয়ে ধৈর্য্যের উপদেশ দিতে পারার হিম্মত মাওলানা নিজামীকে না দেখলে বোধহয় আমাদের দেখার সুযোগ হতো না।

বাংলাদেশের কলুষিত রাজনৈতিক চর্চায় গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য তিনি চেষ্টা করেছেন শুরু থেকেই। ১৯৯১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে তার দেয়া বক্তব্যে তিনি রাজনীতিতে সরকারি দল ও বিরোধী দলের কেমন আচরণ কেমন হওয়া উচিত এই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রথমে সরকারি দলকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষণীয় ভূমিকা নিতে হবে তাদেরকেই। জাতি এটাই কামনা করে। পরমত সহিষ্ণুতা দেখাতে হবে। বিরোধী দলের সমালোচনা সহ্য করার অনুরোধ করেন। সেই সাথে তিনি বিরোধী দলের ব্যাপারে বলেন, জাতি বিরোধীদলের ভূমিকাকেও গঠনমূলক দেখতে চায়। আবেগ নির্ভর হয়ে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে গিয়ে যাতে পরিবেশ ক্ষুন্ন না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার। অপজিশনের খাতিরে অপজিশন, বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা যাতে না করে। তিনি আরো বলেন, অতীতের ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। যে জাতি অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না সত্যিকার অর্থে সে জাতি তার ভবিষ্যতকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করতে পারেনা। কিন্তু ইতিহাসের আলোচনা শিক্ষাগ্রহনের উদ্দেশ্যেই হওয়া উচিত। কোন তিক্ততা সৃষ্টির জন্য অতীতের ইতিহাসের আলোচনা হলে যদি পরিবেশ বিঘ্নিত হয় সে ধরণের আলোচনা যেন আমরা সকলেই পরিহার করি।

মাওলানা নিজামী সবসময় ইসলামপ্রিয় দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছেন। তিনি তার বিভিন্ন বক্তব্যে বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এদেশের সকল ইসলামী দলকে আপন মনে করে, অন্তর থেকে তাদেরকে শ্রদ্ধা করে। আমি এতটুকু বলতে চাই, ভুল বুঝাবুঝির কারণে হোক বা যে কারণেই হোক জামায়াত ইসলামীর বিরুদ্ধে যারা সমালোচনা করেন তাদের বিরুদ্ধেও আমরা কোন কথা বলি না বলবো না। সমালোচনায় জড়িয়ে পড়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির মত পরিস্থিতিতে জামায়াত ইসলামী আজ পর্যন্ত শরিক হয়নি। ভবিষ্যতেও হবেনা। আজকের এই সময়টি ইখতিলাফ নিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ার সময় নয়। ইসলামে মতপার্থক্য ছিল, আছে এবং থাকবে। যে যেমতে বিশ্বাসী তাকে সে মতে থাকতে দিন। জোর করে একজনের মতের উপর আরেকজনের মত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেই সেখানে ফিতনা ফাসাদের জন্ম হতে পারে। জামায়াতে প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে সজাগ আছে, সজাগ থাকবে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যারা কুরআন হাদীসের খেদমতে নিয়োজিত তারা যদি আমাদের বিরুদ্ধে ফতোয়াও দেন তবুও তারা যে কাজটি করছে সে কাজটি আমাদের কাজ। তারা হয়তো কোন ভুল তথ্য পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নেগেটিভ কথা বলছে কিন্তু তারা যেহেতু আমাদেরই কাজ করছে তাই তাদের বুকে টেনে নেয়ার মত উদার আমাদের হতে হবে।

মাওলানা নিজামীর স্বভাবসুলভ বিনয় ছিল লক্ষ্যনীয়। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কখনোই কাউকে ধমক দেয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতি অসম্মান কিংবা কোন প্রকার কটুক্তি করেননি। অথচ বিরোধী দলের প্রতি কটুক্তি করা বাংলাদেশের খুবই প্রচলিত আচরণ। স্বভাবসুলভ শান্ত ভঙ্গিতে তিনি সমালোচনার জবাব দিতেন। সংসদে কারো বক্তব্যের বিরোধীতা করার প্রয়োজন হলে অথবা প্রতিবাদ জানানোর দরকার হলে তিনি তা করতেন অত্যন্ত সম্মানের সাথে। ওলামা মাশায়েখদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় তার বিনয় আমাদের কাছে আরো সুস্পষ্ট হয়ে উঠে। তিনি ইসলামিক দলের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও বলেন, এখানে যারা আসছেন তারা সবাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অথবা মসজিদের ইমাম এবং খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। আমি নিজে শিক্ষক নই, কোন মসজিদের ইমাম নই খতীব নই। আমি ছাত্র এবং মুক্তাদী। সুতরাং সমস্ত ওলামায়ে কেরামকে আমি আমার ওস্তাদতুল্য মনে করি, সম্মান করি। আমি আপনাদের ইমাম ও খতীব হিসেবে শ্রদ্ধা করি। এভাবে সব দল মত পেশার মানুষকে তিনি সম্মান করতেন। কথা বলতেন অত্যন্ত বিনয়ের সাথে।

শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনেই বানোয়াট অভিযোগ দাঁড় করিয়ে প্রহসণ করে হত্যা করা হয় এই বিরল যোগ্যতার অধিকারী ব্যক্তিত্বকে। শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন, মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের যে অভিযোগ আনা হয়, এটা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে অনেক যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে নুরেমবার্গ থেকে সিওরালিয়ন। কিন্তু মাওলানা নিজামী ৪০ বছর দেশে থাকার পরও কেউ কোনো দিন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেননি। সরকার আইন ভঙ্গ করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

বিচার প্রক্রিয়া যেমন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তেমনি উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে প্রবীন এই রাজনীতিবিদকে কষ্ট দেয়ার জন্য নানা উপায় বের করা হয়েছিল। মাওলানা নিজামীর মেজো ছেলে ডা: নাঈম খালেদ শেষ সাক্ষাতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমরা কনডেম সেলে শেষ সাক্ষাতের দিন আব্বুর কক্ষের সামনে যাই। সেলটির নাম রজনীগন্ধা। সেলের সর্বশেষ কক্ষ ৮ নম্বর প্রকোষ্ঠে আব্বু ছিলেন। রুমটি জানালাবিহীন, দৈর্ঘ্যে প্রস্থে আনুমানিক ৮/৮ ফিট, একদিকে লোহার গরাদ দিয়ে ঘেরা আর তার সামনে ছোট একটি আধো অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রাঙ্গণ।

রুমের ভেতরে সবুজ একটি জায়নামাজে বসে আব্বু আমাদের উল্টোদিকে কেবলামুখী হয়ে দোয়া করছিলেন। শান্ত ও স্পষ্ট উচ্চারণে আরবিতে দোয়া করছিলেন, খুব উচ্চস্বরেও না আবার খুব নিচুস্বরেও না। প্রতিটি বাক্যের মাঝে স্বভাবসুলভ একটু বিরতি। ঠিক যেমনটা আমরা আমাদের ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। পাশে হালকা বাদামি রঙের একটি বাচ্চা বিড়াল বসা। যেন উনার সাথে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানাচ্ছে। মুয়াজ (উনার তিন বছর বয়সী নাতী) সিঁড়ি বেয়ে উঠে লোহার গরাদ ধরে বলল, “দাদু দরজা খোলো আমরা আসছি”। আব্বু শান্তভাবে মোনাজাত শেষ করে উঠে দাঁড়ালেন। আমাদের দেখে লোহার গরাদের কাছে এসে বললেন, “তোমরা আসছো? এটাই তাহলে শেষ দেখা?”

পরিবারের সাথে শেষ সাক্ষাতের সময় সবাইকে নিয়ে মোনাজাত শেষে মাওলানা নিজামী তার ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেনকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি ফাঁসির মঞ্চে লুঙ্গি পরে না পাঞ্জাবি-পাজামা পরে যাবেন? মোমেন বললেন, পাঞ্জাবি-পাজামা পরে যাবেন। আল্লাহর প্রিয় বান্দা, মর্দে মুজাহিদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করার প্রেরণায় কতটা ব্যাকুল ছিলেন, তা এখান থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায়। পরিবারের সদস্যদের বিদায় দিয়ে মহান রবের পানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকেন মাওলানা নিজামী। জল্লাদরা যখন তার কক্ষের সামনে যায়, তিনি বললেন, ‘আমি প্রস্তুত’।

১১ মে ২০১৬ রাত ১২টা ১০ মিনিটে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যা করার মধ্য দিয়ে তিনি মহান রবের পানে চলে যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে লাশবাহী বহর পৌঁছে সাঁথিয়ার মনমথপুরে জন্মভূমিতে। সেখানে পূর্ব থেকেই উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্যগণ ও হাজারো শোকাহত জনতা। শহীদ নিজামীর কফিনবাহী গাড়ির বহর বাড়িতে পৌঁছলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সাধারণ মানুষ তাদের নেতাকে এক নজর দেখার জন্য আকুতি করতে থাকে এবং ঢুকরে কেঁদে ওঠে। কিন্তু মানুষের এই কান্না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হৃদয় গলাতে পারেনি, ফলে শেষবারের মত তাদের প্রিয় নেতার মুখ দেখতে পারেনি সাধারণ জনতা। তাদের সমস্বরের কান্নায় মনমথপুরের আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। উপস্থিত জনস্রােত সামলাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও হিমশিম খেতে হয়।

তারপর কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িসংলগ্ন মনমথপুর কবরস্থানে। সেখানে পূর্ব থেকেই অপেক্ষমাণ হাজার হাজার মানুষ সারিবদ্ধ হয়ে জানাযায় দাঁড়িয়ে যায়। সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত জানাযায় হাজার হাজার মানুষ শরিক হন। জানাযা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকেরা লাশ নিয়ে যায় কবরস্থানে। বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো সাধারণ মানুষ কবরস্থানে ঢুকে পড়তে চাইলে আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের বাধা দেয়। তাদের বাধা উপেক্ষা করে হাজার-হাজার মানুষ কবরস্থানে প্রবেশ করে। শতবাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে দাফনের পর একই স্থানে ২৬ বার গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়, যা ইতিহাসে বিরল।

তার শাহাদাত গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। মাওলানা নিজামীর বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আর্ন্তজাতিক মহল থেকে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ ও বৈশ্বিক অপরাধের বিচারবিষয়ক বিভাগের সাবেক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ মৃত্যুদন্ডের বিধান আর্ন্তজাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়ার পর্যন্ত নিজামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ স্থগিত রাখার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মাওলানা নিজামীর সাজা স্থগিত করে আর্ন্তজাতিক ন্যায্য বিচারের মানদন্ড অনুযায়ী স্বাধীন তদন্ত করতে হবে- ইংল্যান্ডের বার হিউম্যান রাইটস কমিটি। স্বাধীন ও আর্ন্তজাতিক রিভিউ করতে চিঠি দিয়েছিলেন ৮জন আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞ। বিশ্ব বরেণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা ইউসুফ আল কারজাবী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।

শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী জেলে থাকা অবস্থায় “ঈমানদার হতাশ হতে পারে না” শীর্ষক এক লেখায় উল্লেখ করেন, “আজকের দিনে শুধু বাংলাদেশেই নয় দুনিয়ার সর্বত্রই ইসলামী আদর্শের পতাকাবাহীরা ঈমানের অগ্নি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে। এটা ইতিহাসের শেষ অধ্যায় নয়। এই অধ্যায়ের পরেই আসছে “খেলাফত আলা মিনহাজিন্নবুওয়াত” বা নবী (সা) এর পদাঙ্ক অনুসারী খেলাফতের শাসন ব্যবস্থা। বর্তমান সংকট ইসলামী আদর্শের পতাকাবাহীদের জন্যে কোন দু:সংবাদ বহন করছে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। বরং এটা আগামী দিনের ইসলামী আদর্শের বিজয়ের হাতছানি। একজন ঈমানদার মুসলমানকে এই বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে সকল হতাশা নিরাশার জাল ছিন্ন করে সকল জড়তা কাটিয়ে গাঝড়া দিয়ে উঠতে হবে। এটাই সময়ের দাবী, এটাই ঈমানের দাবী।”