পারস্য উপসাগরে ইরানি নৌবাহিনী সম্প্রতি একটি জাহাজে নৌ-মাইন লোড করায় ওয়াশিংটনে বাড়তি উদ্বেগ ছড়িয়েছে। গত মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান ১২ দিনের সংঘাতের সময় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা তেহরানের আক্রমণাত্মক অবস্থানের প্রমাণ বলে মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
রয়টার্সকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হরমুজ প্রণালি অবরোধের পরিকল্পনা ছিল ইরানের। দুটি মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইরান গোপনে মাইন মোতায়েনের প্রস্তুতি নিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। তবে এই উদ্যোগ একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম সামুদ্রিক রুটে বাধা সৃষ্টি করে তেহরান চাইলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দিতে পারে।
বিশ্বের মোট তেল ও গ্যাস রপ্তানির প্রায় ২০% হরমুজ প্রণালির ওপর নির্ভরশীল। সেখানে নৌ চলাচল ব্যাহত হলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য অনেকটাই বেড়ে যেত। যদিও সংঘাত চলাকালীন কোনো বড় ধরনের সামুদ্রিক বাধা সৃষ্টি না হওয়ায় বর্তমানে জ্বালানির দাম ১০ শতাংশের বেশি কমেছে।
১৩ জুন ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই পারস্য উপসাগরে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে শুরু করে ইরান। পরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফরদো, ইসফাহান ও নাটানজ পারমাণবিক স্থাপনায় পাল্টা বিমান হামলা চালায়। এরপর ইরানের সংসদ হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাবে সম্মতি দিলেও তা বাধ্যতামূলক ছিল না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছিল ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের হাতে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের ঠিক কোন সময় ইরান মাইন লোড করেছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর সেই মাইনগুলো এখনও জাহাজে আছে কিনা, সেটিও স্পষ্ট নয়।
কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র এই তথ্য পেয়েছে তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে সাধারণত স্যাটেলাইট চিত্র ও গোপন উৎসের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয়।