ইরানের রাজধানী তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিবাদে হাজারো বিক্ষুব্ধ মানুষ রোববার (২২ জুন) সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে আসেন। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে চালানো ওই হামলার পর তেহরানসহ বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ।
আজাদি স্কয়ার, ফার্দৌসি স্কয়ার, ইমাম খোমেইনি মসজিদ ও পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ছিল মূল বিক্ষোভ কেন্দ্র। তেহরানের বিক্ষোভে অংশ নেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তিনি অবস্থান নেন এবং তাদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
‘আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব চাই’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’, ‘পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের রক্ত বৃথা যাবে না’—এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে বিক্ষোভস্থল। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল নিহতদের ছবি, ইরানি পতাকা এবং মার্কিন-ইসরায়েলি নেতাদের কুশপুতুল। ব্যানারে লেখা ছিল—“আত্মসমর্পণ নয়, প্রতিরোধ করব”।
তেহরানের পাশাপাশি অন্যান্য শহরেও ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং সংবাদমাধ্যমগুলো এই বিক্ষোভের সরাসরি সম্প্রচার করে। ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত থেকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিশ্লেষকদের মতে, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর দেশজুড়ে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা শুধু সরকার-সমর্থিত নয়—বরং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক জাতীয়তাবোধ এবং প্রতিরোধের মানসিকতা জেগে উঠেছে।