আন্তর্জাতিক
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫ জন নিহত
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি সফল হোক, তা চান না। হামাস বলছে, গাজায় অবরোধ জারি রেখে নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি জনগণ ও ইসরায়েলি বন্দিদের অনাহারে রাখতে চাইছেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন চারজন ফিলিস্তিনি, অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক মৎস্যজীবী। একই সঙ্গে দক্ষিণ রাফায় ট্যাংক ও গানবোট থেকে গোলাবর্ষণের খবরও পাওয়া গেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এই সংকট নিরসনের জন্য একটি "ব্রিজ" পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছে, যার মাধ্যমে চলমান যুদ্ধবিরতি এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।
তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অভিযোগ, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি সফল হোক, তা চান না। হামাস বলছে, গাজায় অবরোধ জারি রেখে নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি জনগণ ও ইসরায়েলি বন্দিদের অনাহারে রাখতে চাইছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হয়েছে। হামাসের হামলায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়। এরপরই ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এখনো চলছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৮,৫২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১,১১,৯৫৫ জন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি—৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। তারা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজারো মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের নিহত বলে ধরা হচ্ছে।
গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। খাদ্য, পানি ও চিকিৎসার সংকটে লাখো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। যুদ্ধবিরতির দাবিতে আন্তর্জাতিক মহল সক্রিয় হলেও বাস্তবে সহিংসতা বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ এখনো অনুপস্থিত।
এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তবে মানবতার স্বার্থে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা এবং সংঘাতের স্থায়ী সমাধান বের করাই এখন সময়ের দাবি।
সূত্র : আল-জাজিরা