ইয়েমেনের রাস ইসা তেলবন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবারের এ হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে বলে হুতি-সংযুক্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে। এ হামলাকে দেশটিতে মার্কিন সেনাদের চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

হোদেইদাহর স্বাস্থ্য দপ্তরের বরাতে আল মাসিরাহ টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হামলায় আহত হয়েছে ১০২ জন।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্য অনুযায়ী, রাস ইসাতে একটি তেল পাইপলাইন ও বন্দর রয়েছে, যা ইয়েমেনের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপূরণীয় অবকাঠামো’। ইয়েমেনের প্রায় ৭০ শতাংশ আমদানি এবং ৮০ শতাংশ মানবিক সাহায্য রাস ইসা, হোদেইদাহ ও আস-সালিফ বন্দরের মাধ্যমে প্রবেশ করে।

এদিকে মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হুতিদের শক্তির উৎস নির্মূল করতে এসব হামলা করা হচ্ছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানায়, ‘এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল হুতিদের অর্থনৈতিক শক্তির উৎসকে দুর্বল করা, যারা এখনো তাদের নিজ দেশের মানুষদের কষ্ট দিয়ে চলেছে এবং তাদের ওপর শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে।’

এই হামলা প্রসঙ্গে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এই হামলাটি অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযানগুলোর একটি এটি।

হুতি নেতারা জানান, এর আগে গত মার্চ মাসে দুই দিনের মার্কিন হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।

তবে ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হুতিরা রেড সি বা লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ না করলে মার্কিন হামলা চলতেই থাকবে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হুতিরা লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে ১০০ টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে এই দাবিতে যে জাহাজগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত। গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই হুতিদের এই হামলা শুরু হয়।