মার্কিন বিমান হামলা ও কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান চরমভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ফ্লোরিডায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “তেহরানের কাছ থেকে আমরা যা চাই, তা-ই পেতে যাচ্ছি।”—এ তথ্য জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
ট্রাম্প বলেন, “ইরানের ওপর প্রচুর বোমাবর্ষণ হয়েছে। তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে এখন কেউ পৌঁছাতে পারবে না—এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েক বছর লাগবে ওই অঞ্চল স্বাভাবিক করতে।”
পারমাণবিক চুক্তি পুনরায় স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, “এটা এখন অগ্রাধিকার নয়। তবে আমরা ইরানের কাছ থেকে যা চাই, তা পাব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তারা বিশাল নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। এখন তাদের জন্য কিছু করা কঠিন হয়ে গেছে। আমি হয়তো এমন একটা সময়ের অপেক্ষায় আছি, যখন তারা পুনর্গঠনের সুযোগ পাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহাবস্থান করতে পারবে।”
অন্যদিকে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমাদ ভাহিদি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিনি বলেন, “আমরা শত্রুর জবাব দিতে সর্বোচ্চ প্রস্তুত। ইসরায়েলের জবাব দিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি এখনো অটুট ও কার্যকর।”
এদিকে, ইরানি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম ‘দেফা প্রেস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ৩১ হাজার ভবন ও ৪ হাজার যানবাহন পুরোপুরি ধ্বংস বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ বার্তা সংস্থা তাসের বরাতে তারা জানায়, “এ ক্ষয়ক্ষতি ইরানের হামলার ধ্বংসাত্মক সক্ষমতারই প্রমাণ।”
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার মধ্যে তেহরান এখনও শান্তিপূর্ণ আলোচনার দরজা পুরোপুরি বন্ধ করেনি বলে জানিয়েছেন ইরানি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি সিবিএস নিউজকে বলেন, “তবে আলোচনার পথ এত তাড়াতাড়ি আবার খুলবে বলে মনে করি না।”