মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে “পশ্চাদমুখী ও দায়িত্বহীন পদক্ষেপ” আখ্যা দিয়ে বলেন, এই আচরণ বিশ্বশান্তির জন্য গভীর হুমকি তৈরি করবে। খবর প্রেস টিভির।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম পরিবর্তন করে কার্যত “যুদ্ধ বিভাগ” করা হয়েছে, যা দেশটির আসল চেহারা প্রকাশ করে।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে “পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই রাষ্ট্র একদিকে অন্য দেশের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, অন্যদিকে নিজেই নতুন করে পারমাণবিক পরীক্ষা চালু করতে যাচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

আরাগচি বলেন, “ভুল করবেন না—যুক্তরাষ্ট্রই আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিস্তার-ঝুঁকি।”

তার ভাষায়, ওয়াশিংটন বরাবরই ভণ্ডামির আশ্রয় নিয়ে থাকে। একদিকে তারা ইরানের মতো দেশকে হুমকি দেয়, অন্যদিকে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার বাড়াতে থাকে।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করবে।

এর আগের দিন, বুধবার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি জানান, “অন্য দেশগুলো যখন পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে, তখন আমরাও পিছিয়ে থাকতে পারি না।”

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের মালিক। তার মতে, রাশিয়া রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে এবং চীন তৃতীয়, “যা এখনও অনেক পিছিয়ে আছে।”

খবর প্রেস টিভির।