গাজার উদ্দেশে যাওয়া ত্রাণবাহী আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ বেশ কয়েকটি নৌযানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে থাকা দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
৪০টির বেশি নৌযান নিয়ে যাত্রা করা এই ফ্লোটিলায় যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্সসহ অন্তত ৪৪ দেশের ৫০০ মানুষ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে ৩৭ দেশের দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে বন্দি করেছে ইসরায়েল। সংগঠনটির মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, সমুদ্রে ১৩টি নৌযান আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু স্পেনেরই ৩০ জন।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা জানান, বুধবার রাতে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ১৩টি নৌযান আটক করে। এ সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন সেনারা।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্লোটিলা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। গাজায় যেকোনো সহায়তা ‘প্রতিষ্ঠিত চ্যানেল’ দিয়ে পাঠাতে হবে। আটক কর্মীদের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে আয়োজকেরা বলছেন, ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও বহরের অন্তত ৩০টি নৌযান গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নৌযানগুলোতে খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী রয়েছে বলে জানান তাঁরা।
২০০৭ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ চলছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে টানা হামলা। ইসরায়েলের হামলায় এই দুই বছরে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরোধের কারণে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে।