যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২৭ আগস্ট) থেকে কার্যকর হওয়া এই নতুন শুল্কের কারণে দেশের তিনটি বড় শহরের তিরুপুর, নয়ডা এবং সুরাট টেক্সটাইল ও পোশাক কারখানাগুলো উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে ট্রাম্প ভারতের পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। তবে রাশিয়ার তেল কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া জরিমানার কারণে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক যোগ করা হয়েছে।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের (FIEO) সভাপতি এস সি রালহান জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার চাপের কারণে দেশীয় বস্ত্র উৎপাদকরা উৎপাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন। ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশে কম খরচে পণ্য তৈরি হওয়ায় ভারতের পণ্য তুলনায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় রপ্তানি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হবে। মূল্য বৃদ্ধি ও ৩০-৩৫ শতাংশ অমূল্য অবস্থানের কারণে ভারতীয় পণ্য চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন ও অন্যান্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না। ইতিমধ্যেই ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ কম খরচে বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের সামুদ্রিক খাদ্যের ৪০ শতাংশ রপ্তানি হয়, বিশেষত চিংড়ি। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মজুত ক্ষতি, সরবরাহে বিঘ্ন এবং চাষিদের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া চামড়া, সিরামিক, রাসায়নিক, হস্তশিল্প ও কার্পেট খাতও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে।
রপ্তানিকারকরা সরকারের কাছে সুদ সহায়তা প্রকল্প, রপ্তানি ঋণসহ আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছেন। FIEO সভাপতি রাকেশ মেহরা জানিয়েছেন, সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আর্থিক ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে।