রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা পশ্চিমা দেশগুলোর পরিকল্পনার তুলনা করেছেন হিটলারের স্লাভ জনগোষ্ঠী ধ্বংসের কৌশলের সঙ্গে। তাঁর দাবি, এসব পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাখারোভা বলেন, আমি কখনো সন্দেহ করিনি যে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর অস্ত্র হিসেবে ইউক্রেনকে ব্যবহার করার পাশাপাশি, এই সংঘাতের জন্মদাতা পশ্চিমা শক্তির আরেকটি বিকৃত ভাবনা ছিল—ইউক্রেন জাতিকেই ধ্বংস করা।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৮৫ বছর আগেও পশ্চিমাদের একই ধরনের পরিকল্পনা ছিল। জাখারোভা স্মরণ করিয়ে দেন কীভাবে নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিশেষ করে ইউক্রেনে তাণ্ডব চালিয়েছিল, এবং তাঁর মতে সেই প্রবণতা পুরোপুরি দূর হয়নি।
জাখারোভার ভাষায়, পশ্চিমাদের কোনো স্বাধীন ইউক্রেন বা স্বাধীনচেতা ইউক্রেনীয়দের প্রয়োজন নেই। তারা চায় এমন ইউক্রেনীয় জনগণ, যারা ৮৫ বছর আগের মতো নাৎসিবাদের পতাকার নিচে তাদের সহযোগী হিসেবে দাঁড়াবে। অন্যথায়, পশ্চিমা দৃষ্টিতে তাদের ধ্বংস করাই ‘উপযুক্ত’।” তিনি দাবি করেন, হিটলারের সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণের পরিকল্পনাও স্লাভ জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করেই সাজানো হয়েছিল, এবং “আজ আমরা সেই চিত্রের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি।
জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে নেওয়ার সম্ভাবনায় থাকা ইউক্রেনীয়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এটাকে ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা মনে করবেন না।” তার মতে, বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইউক্রেনের শাসকগোষ্ঠী—জেলেনস্কি এবং এর আগের প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কোসহ “লোভী ও উন্মাদ শক্তিগুলো”।
তিনি শেষ করেন এই পরামর্শ দিয়ে: “ইউক্রেনীয়দের উচিত যেকোনোভাবে নিজেদের এবং নিজেদের পরিবারকে রক্ষা করা।”