তেহরানের রাজপথে লক্ষ লক্ষ জনতা ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে। একই সময় ইসরায়েল ও ইরান অষ্টম দিনের মত পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিনিময় অব্যাহত রেখেছে।

সাপ্তাহিক জুমার নামাজের পর ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ইরানের ক্ষমতাসীন সরকার ও নেতাদের সমর্থনে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের হুমকির বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে বলা হয়, ‘‘আজকের শুক্রবার ইরানি জাতির ঐক্য ও প্রতিরোধের দিন।’’
প্রচারিত ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের হাতে ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলায় নিহত বিভিন্ন কমান্ডারের ছবি দেখা যায়। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকে ইরান, ফিলিস্তিন ও হিজবুল্লাহর পতাকাও উড়াচ্ছিলেন।
একজন বিক্ষোভকারীর হাতে থাকা ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘‘আমি আমার নেতার জন্য জীবন উৎসর্গ করব।’’ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এই ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরান ছাড়াও দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজ এবং দক্ষিণের শিরাজেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, "আলোচনার সম্ভাবনার" কারণে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যে ইরানে আক্রমণে আমেরিকা ইসরায়েলের সাথে যোগ দেবে কিনা।
লেবাননে হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাইম কাসেম বলেছেন যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হত্যার হুমকি এই অঞ্চলের সকল মানুষের বিরুদ্ধে একটি "আগ্রাসন"।
এদিকে, ইরানে ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইরাকের বাগদাদ শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা গেছে, ইরানের উপর হামলার মধ্যে বাগদাদের সদর সিটিতে হাজার হাজার ইরাকি জুম্মার নামাজের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন।
সদর সিটি, যা বিপ্লব শহর নামেও পরিচিত, ইরাকি রাজধানীর একটি উপশহর এবং আনুমানিক দশ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যার অধিকারী, যাদের বেশিরভাগই শিয়া মুসলিম।
এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে জনপ্রিয় শিয়া ও মিলিশিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদরের নামে, যিনি ইরানের ক্ষমতাসীন ধর্মীয় নেতাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং একজন তীব্র মার্কিন সমালোচক হিসেবে পরিচিত।