বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সৈন্যদের মধ্যে সারা রাত ব্যাপক গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। হালকা অস্ত্রের পাশাপাশি দুদেশের সেনারা একে অন্যের অবস্থান লক্ষ্য করে কামানের গোলাও বর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। খবর এএফপির।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশ দুই যুগের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ভারত সে রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাবর্ষণের ঘটনার মধ্যেই এই হামলা চালায় ভারত। ভারত জানায়, ওই হামলায় বুধবার ভোররাতে পাকিস্তানের নয়টি ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় নয়াদিল্লি। তবে কাশ্মীরের হামলার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে পাকিস্তান।
এদিকে, ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, হামলায় পাকিস্তানের নাগরিক হত্যার জবাব দেবে তার দেশ। হত্যাকাণ্ডে হতাহত লোকজনের রক্তের প্রতি ফোঁটার বদলা নেওয়া হবে।
বুধবারের সংঘাতে এ পর্যন্ত দুদেশে ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ইসলামাবাদ বলেছে, ভারতের হামলায় তাদের ৩১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের গোলার আঘাতে ভারত সীমান্তে ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লি।
তবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে গুলিবর্ষণের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান।