পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুদিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। শনিবার ( ২ে৩ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন। প্রায় ১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম সরকারি সফর।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, গত দুই দশক ধরে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক কিছুটা শীতল অবস্থায় থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা নতুন করে উষ্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচ ঢাকায় সফর করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এবার ইসহাক দার ঢাকায় এসেছেন।
সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং পারস্পরিক যোগাযোগ সুগম করার উপায় খোঁজা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ইসহাক দারের প্রধান বৈঠক হবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। প্রথমে একান্তে বৈঠক এবং পরে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে পাঁচ থেকে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র বলছে, আলোচনায় ব্যবসা-বিনিয়োগ, জনগণের চলাচল সহজীকরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিনিময় হবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও অভিন্ন স্বার্থের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হলে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান জরুরি বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন।
রোববার বিকেলে ইসহাক দার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জামায়াত নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সক্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছে। আমনা বালোচের সফরের পর এবার ইসহাক দারের সফর সেই প্রচেষ্টারই অংশ।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ঢাকায় এসেছিলেন। তখন তিনি ডি-৮ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন। তবে ২০২২ সালে পুনরায় ঢাকায় আসার কথা থাকলেও তা হয়নি।