গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা দখলের ইঙ্গিত দেওয়ার পর ক্যানবেরা সরাসরি এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার (৮ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এক বিবৃতিতে জানান, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় গাজা দখলের মতো পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
তিনি বলেন, “স্থায়ীভাবে মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাস কর্তৃক আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্য অস্ট্রেলিয়া বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে।”
পেনি ওং আরও বলেন, “দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ হলো একটি দুই-রাষ্ট্রীয় সমাধান – যেখানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তের মধ্যে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও ইসরায়েল রাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে।”
যদিও অস্ট্রেলিয়া এখনো যুক্তরাজ্য, কানাডা কিংবা ফ্রান্সের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবে দেশটি জানিয়েছে তারা ‘উপযুক্ত সময়ে’ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ইসরায়েলের পদক্ষেপ নিয়ে তাদের অবস্থান আগের চেয়ে বেশি সমালোচনামূলক হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের রাজনৈতিক-নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই গাজার প্রধান শহর গাজা সিটি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনায় সায় দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনীকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইসরায়েল গাজার ওপর পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলেও সেখানকার প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে চায় না। তাদের লক্ষ্য হলো একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে সেটি তৃতীয় পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া।