জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত ভেনেজুয়েলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আগ্রাসনের’ হুমকির প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলার সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক প্রাণঘাতী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সোমবার এই মন্তব্য করেন। মাদুরো এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “আমেরিকান সাম্রাজ্য ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা চালালে, যাতে আমাদের জনগণ এবং দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা যায়, সে লক্ষ্যে সংবিধানের আলোকে একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে আজ আমরা পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু করেছি।”এর আগে ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বিদেশি কূটনীতিকদের বলেন, “মাদুরো একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের মাতৃভূমিকে আক্রমণ করার দুঃসাহস দেখায়, তবে এই ডিক্রি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তাকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ‘বিশেষ ক্ষমতা’ প্রদান করবে।”এই ডিক্রি মাদুরোকে সারাদেশে সৈন্য মোতায়েনের অনুমতি দেবে এবং জনসেবা ও তেল শিল্পের ওপর সামরিক কর্তৃত্ব দেবে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন ও এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযানকে মাদক পাচার মোকাবিলার একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দাবি করলেও বিশ্লেষকদের মতে এটি মাদুরোর ওপর চাপ তৈরির কৌশল। আল-জাজিরা
আমাদের মুক্ত করেছে ভারতীয় সেনারা
--------- ইসরাইলী মেয়র
ব্রিটিশরা নয়, ইসরাইলের হাইফা শহরকে মুক্ত করেছে ভারতীয় সেনারা। এমন মন্তব্যই করেছেন শহরটির মেয়র ইয়োনা ইয়াহাভ। তার মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শহরকে মুক্ত করেছিলেন ভারতীয় সেনারা। ইসরাইলের এই শহরেই সোমবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় শহরের মেয়র ইয়োনা ইয়াহাভ জানান, ইতিহাসের বিকৃত তথ্য সংশোধন করে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এখন বলা হচ্ছে— হাইফাকে মুক্ত করেছিলেন ভারতীয় সৈন্যরাই, ব্রিটিশরা নয়।মেয়র ইয়াহাভ আরও বলেন, “আমি এই শহরেই জন্মেছি এবং পড়াশোনা করেছি। সবসময় আমাদের বলা হতো, ব্রিটিশ সেনারাই অটোমান শাসন থেকে শহরকে মুক্ত করেছে। কিন্তু একদিন ঐতিহাসিক সমিতির একজন আমার কাছে এসে গবেষণার তথ্য দেখান। তাতে প্রমাণ মেলে, ব্রিটিশ নয়, ভারতীয় সৈন্যরাই হাইফাকে মুক্ত করেছিলেন।”হাইফাতে ভারতীয় সৈন্যদের কবরস্থানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শহরের প্রতিটি স্কুলে পাঠ্যবই পরিবর্তন করা হচ্ছে। পরিবর্তিত পাঠ্যবইয়ে ভারতীয় সেনাদের হাতে আমাদের মুক্ত হওয়ার বিষয়টিই উল্লেখ থাকবে।”প্থম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতীয় অশ্বারোহী রেজিমেন্টগুলো বর্শা ও তলোয়ার নিয়ে মাউন্ট কারমেলের দুর্গম পাহাড়ি ঢাল থেকে অটোমান বাহিনীকে হটিয়ে শহর দখল করে। যুদ্ধবিশেষজ্ঞদের মতে, এটিই ছিল ইতিহাসের শেষ বড় ধরনের অশ্বারোহী অভিযান।এই কারণে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর ‘হাইফা দিবস’ পালন করে থাকে। ১৯১৮ সালের এই দিনে মাইসোর, হায়দরাবাদ ও যোধপুর ল্যান্সার নামের তিন অশ্বারোহী রেজিমেন্টের সেনারা হাইফাকে মুক্ত করেছিলেন। হাইফা পৌরসভা ও ভারতীয় মিশনও প্রতিবছর সেখানে শ্রদ্ধা জানায়। এনডিটিভি
লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে ভাঙচুর
ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী গান্ধী জয়ন্তী এবং জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসের মাত্র কয়েক দিন আগে লন্ডনে ভারতের তার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ভারত-বিরোধী স্লোগান লেখার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানালো ভারত। লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন এই ঘটনাকে শুধু ভাঙচুর নয় অহিংসার আদর্শের উপর সহিংস আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে।ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের কাছাকাছি ঐতিহাসিক ট্যাভিস্টক স্কোয়ারে মহাত্মা গান্ধীর এই প্রতীকী ব্রোঞ্জ মূর্তিটি রাতের অন্ধকারে বিকৃত করা হয়। মূর্তির বেদি ও সিঁড়িতে স্প্রে করে ইংরেজিতে লেখা হয় গান্ধী-মোদি হিন্দুস্তানি টেররিস্ট-এর মতো মন্তব্য। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই লন্ডন ও নয়াদিল্লিতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশন এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির এই লজ্জাজনক ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এটি শুধু ভাঙচুর নয়, আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসের মাত্র তিন দিন আগে অহিংসার ধারণা এবং মহাত্মার উত্তরাধিকারের উপর এক সহিংস আক্রমণ। হাইকমিশন আরও জানায়, তারা এই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে। এছাড়াও ভারতীয় দূতাবাসের একটি দল ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূর্তির পুরনো মর্যাদা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছে।