জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এটিই প্রথম সরাসরি নিষেধাজ্ঞা। এর লক্ষ্য হলো তেল বিক্রি থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব বন্ধ করে দেয়া। কারণ এ রাজস্ব ব্যবহৃত হয় রাশিয়ানের যুদ্ধের অর্থায়নে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অস্বীকৃতির পর মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি— রোসনেফট এবং লুকঅয়েলের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। খবর রয়টার্স।
বুধবার এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, এখনই হত্যা বন্ধ করার এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময়। প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি জানানোয় ট্রেজারি বিভাগ রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, যা ব্যবহৃত হয় ক্রেমলিনের যুদ্ধের অর্থায়নে। তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরেকটি যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে ট্রেজারি প্রস্তুত আছে এবং তিনি মিত্রদের এই নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ সরকার এক সপ্তাহ আগেই রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রসনেফটকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, তবে লুকয়েলকে নয়—মূলত হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার জ্বালানি নির্ভরতার কারণে কিছু ছাড় রাখা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, ট্রাম্প সম্প্রতি ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত এক শীর্ষ সম্মেলন বাতিলের কথাও নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প বলেন, আমরা পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছি। সময়ের প্রেক্ষিতে বৈঠকটি করা সঠিক মনে হয়নি। তবে ভবিষ্যতে আবার হবে।