ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার জোরালো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। চালানো হচ্ছে স্থল অভিযান।
এর আগে এক বিবৃতিতে গাজা থেকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ও হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘সর্বশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে ইসরায়েল।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারো ইসরাইলের নৃশংস হামলার পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক আযানের সুর ক্ষতবিক্ষত করেছে কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়।
যে মুয়াজ্জিনের আজান মানুষকে কল্যাণের পথে ডাকে, মঙ্গলের জন্য ডাকে, সেই মুয়াজ্জিনের কান্না ভেজা আজানের সুরে আজ ভারী হয়ে উঠেছে আসমান।
‘ইসলাম গ্রহণ করে আমি যে শান্তি পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না’
ফিলিস্তিনের বিজয় কামনা করে দোআ করা হয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরীফে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) তারাবির নামাজের পর এই দোআ করেন শায়খ আব্দুর রহমান।
এসময় অন্যায়ভাবে জুলুম নিপীড়িন চালিয়ে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যাকারী ইসরায়েলের ধ্বংস কামনা করা হয়৷ এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাজারো মুসল্লি।
‘হাইয়া আলাস সালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলে ডাকছেন গাজার এক মসজিদের মুয়াজ্জিন। যার অর্থ ‘কল্যাণের জন্য এসো, মঙ্গলের জন্য এসো’। কিন্তু মানবজাতির জন্য কল্যাণ ও মঙ্গল কামনাকারী মুয়াজ্জিনের সেই আজানের সুর ছিল কান্না ভেজা। মুয়াজ্জিন আজান দিতে দিতে কাঁদছিলেন। তার কন্ঠে যেন লুকিয়েছিল সমগ্র ফিলিস্তিনের বেদনা, গাজার অসহায় মানুষের আর্তনাদ।
এদিকে মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরীফে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার তারাবির নামাজের পর এই দোয়া অনুষ্ঠিত হয়, যার নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিখ্যাত আলেম শায়েখ আব্দুর রহমান আস সুদাইস। এদিন কাবা শরীফে উপস্থিত হাজার হাজার মুসল্লি ফিলিস্তিনের শোষিত জনগণের জন্য বিশেষ দোয়া করেন।
শায়ক আব্দুর রহমান আস সুদাইস ফিলিস্তিনের উপর আক্রমণকারীদের ধ্বংস কামনা করেন এবং আল্লাহর কাছে তাদের বিচার দাবি করেন। মোনাজাতের এই মুহূর্তে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। তাদের চোখে ছিল সমবেদনা এবং গভীর দুঃখের ছাপ। এই বিশেষ দোয়া কেবল ফিলিস্তিনের জনগণের এর জন্যই নয়, বরং বিশ্বের অন্যান্য অত্যাচারিত মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ছিল একটি ঐক্যবদ্ধ আহ্বান।