বিদ্যুৎ ও পানি সংকটের বিরুদ্ধে গত কয়েক দিন ধরে জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল মাদাগাস্কার। বিক্ষোভের জেরে অবশেষ সরকার ভেঙে দিলেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিক্ষোভে কমপক্ষে ২২ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

গত সপ্তাহে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর নেতৃত্বে ছিল মূলত তরুণরা।

সোমবার ( ২৯ সেপ্টেম্বর ) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা জনসাধারণের অভিযোগ স্বীকার করে সরকারের ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাব, যা বলছে হামাসগাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাব, যা বলছে হামাস

তিনি বলেন, ‘সরকারের সদস্যরা যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করে থাকেন তাহলে সেজন্য ক্ষমা চাইছি।’

প্রেসিডেন্ট বিক্ষোভের সময় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন তরুণদের সাথে যোগাযোগের একটি মাধ্যম খুলতে চান।

তিনি আরো বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং পানি সরবরাহ সমস্যার কারণে সৃষ্ট ক্ষোভ, দুঃখ এবং অসুবিধাগুলো আমি বুঝতে পারি। আমি তাদের কথা শুনেছি, আমি তাদের কষ্ট অনুভব করতে পারি, আমি দৈনন্দিন জীবনের ওপর এর প্রভাবও বুঝতে পারছি।’

পার্লামেন্টে নতুন নীতিমালা পেশ থাই প্রধানমন্ত্রীরপার্লামেন্টে নতুন নীতিমালা পেশ থাই প্রধানমন্ত্রীর

বছরের পর বছর ধরে অর্থনৈতিক মন্দায় হতাশা থেকেই এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের একটি দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার এই অঞ্চলের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি।

বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২২ সালে এর তিন কোটি মানুষের প্রায় ৭৫ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত।

বিক্ষোভকারীরা পরিস্থিতির উন্নতি করতে ব্যর্থতার জন্য সরকারের প্রতি দোষারোপ করছেন। বিশেষ করে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং পানির ঘাটতির কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা।