ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান এক সদস্য। এ সময় হট্টগোল বেধে যায়। এতে বাধাগ্রস্ত হয় ট্রাম্পের ভাষণ।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, হট্টগোলে ট্রাম্পের বক্তৃতায় বাধার সৃষ্টি হয়। এরপর দু’জন পার্লামেন্ট সদস্যকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাদের একজনের নাম আয়মান ওদেহ। অন্যজনের নাম ওফের কাসিফ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তৃতায় বাধা দেন পার্লামেন্ট সদস্য আয়মান ওদেহ। তিনি হাতে ব্যানার উঁচিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। এরপর কয়েকজন ব্যক্তি তৎক্ষণাৎ তার দিকে ছুটে যান। এ সময় তার কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং তাকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে জানা যায়, তার সঙ্গে পার্লামেন্ট সদস্য ওফের কাসিফকেও বের করা হয়েছে। এই হট্টগোলে ট্রাম্প বক্তৃতা থামাতে বাধ্য হন।
এর আগে আয়মান ওদেহ এক্সে এক পোস্টে বলেন, “ভণ্ডামির একটা সীমা থাকা দরকার। বলেন, কোনও সুপরিকল্পিত গোষ্ঠীর মাধ্যমে নেতানিয়াহু বা তার সরকারকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় থেকে মুক্তি দেওয়া যায় না। তবে যুদ্ধবিরতি ও অন্য সকল চুক্তির জন্যই আমি এখানে এসেছি। কেবল মাত্র দখলদারিত্বের অবসান ও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে সঠিক বিচার, শান্তি, ও নিরাপত্তা আনা সম্ভব হবে।”
পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পার্লামেন্টে ভাষণ শুরুর আগে বলেন, “কাজটা খুব দক্ষতার সঙ্গে হয়েছে।”
নেসেটে ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আজ একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ‘ঐতিহাসিক ভোর’।
এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তাকে ‘অসাধারণ সাহসী একজন মানুষ’ বলে অভিহিত করেন।
এ সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত সদস্যদের অনেকে নেতানিয়াহুর ডাকনাম ‘বিবি’ বলে চিৎকার করে ওঠেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে আলোচনায় সহায়তাকারী আরব দেশগুলোকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তাদের একসঙ্গে কাজ করাটা ‘অবিশ্বাস্য এক বিজয়’।
ট্রাম্প আরও বলেন, এখন ইসরায়েলের ‘স্বর্ণযুগ আসবে’ এবং এটি সমগ্র অঞ্চলের জন্যও ‘স্বর্ণযুগ’ হবে। সূত্র: আল-জাজিরা