পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সড়ক, সেতু, স্কুল, ভবন ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বন্যায় সাতটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে এবং অন্তত ৩৮টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সোয়াত জেলায়। এছাড়া তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধসে গেছে এবং আরও তিনটি আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছে।

আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোয়াত, বুনের, শাঙ্গলা, বাজাউর, লোয়ার দির, বাটাগ্রাম ও মানসেহরা জেলায় প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার পর শনিবার একদিনের শোক ঘোষণা করেছে প্রাদেশিক সরকার। সেদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

জরুরি সেবা দল ১১২২ জানিয়েছে, ভারি বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় শুধু বুনের জেলায়ই আটকে পড়া দুই হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৩০০ জন স্কুলশিক্ষার্থী।

ডেপুটি কমিশনার কাশিফ কাইয়ুম জানিয়েছেন, পুরো জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চলছে। তিনি জানান, পীর বাবা বাজার ও আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, একটি মসজিদ ধসে পড়েছে এবং বহু গবাদি পশু মারা গেছে।

বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোয়াতের ১৩২ কেভি গ্রিড স্টেশন প্লাবিত হয়ে ৪১টি ফিডার বন্ধ হয়ে যায়, ফলে পুরো অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে যায়।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ আছেন। পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্পষ্ট হবে।