ইসরায়েলের হামলার মুখে দাঁড়িয়ে এবার প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কণ্ঠ তুললো কাতার। যুদ্ধক্লান্ত মধ্যপ্রাচ্যকে এক নতুন অদৃশ্য রেখায় ভাগ করে দিচ্ছে এই সমর্থন। শুধু এক দেশের প্রতি সহানুভূতি নয়—বিশ্লেষকদের মতে, এটি জ্বলে ওঠা বারুদের পেছনে কূটনীতির বিস্ফোরক ভাষ্য।

শনিবার সন্ধ্যা—দুই নেতা কথা বলছেন, কিন্তু কণ্ঠের ভেতর গুঞ্জন যেন আরও অনেক দেশের। কাতারের আমির শেখ তোমিম বিন হামাদ আল থানি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “আমরা ইরানের পাশে আছি। শান্তি চাই, কিন্তু অসম্মানের বিনিময়ে নয়।” এই কথা সরাসরি ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের কানে যায়, এবং সম্ভবত ওয়াশিংটন ও তেলআবিবের দিকেও।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এমন এক সময় এই বার্তা দিলেন, যখন ইরানের আকাশে যুদ্ধবিমানের গর্জন থেমে থেমে কাঁপিয়ে যাচ্ছে ভূমি। তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য ছিল সম্পর্ক—কিন্তু কেউ কেউ চায় সংঘাত। আমরাও প্রস্তুত, কারণ আত্মমর্যাদা বিক্রি করার নয়।”

তিনি আরো বলেন, “গাজায় যারা রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেবল নিন্দা নয়, দরকার সম্মিলিত কূটনৈতিক ও কৌশলগত চাপ।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান, রাশিয়া, চীনের পর কাতারের এমন অবস্থান স্পষ্টতই ইসরায়েলকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করছে। আগে যারা নিরপেক্ষ থাকতো, তারাও এখন স্পষ্ট সুরে বলছে—“এই হামলা আমরা মেনে নেব না।”

শেখ তোমিম বলেন, “ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। কাতার এই অধিকারকে সমর্থন করে। আমরা কেবল নীরব দর্শক নই।” তিনি আরও জানান, অন্য মুসলিম দেশগুলোকেও এই অবস্থানের ব্যাপারে জানানো হয়েছে।

এই টেলিফোন আলাপ হয়তো আরেকটি যুদ্ধ শুরু করেনি, কিন্তু যে দিকটা কার পক্ষে তা এখন অনেকটাই পরিষ্কার। প্রশ্ন এখন—এই বন্ধুত্ব অঞ্চলটিকে শান্তির দিকে নিয়ে যাবে, নাকি আরও গভীর সংঘাতে ঠেলে দেবে?