গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দখলদার ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় গোটা এলাকা হয়ে উঠেছে এক মৃত্যুপুরী। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের যৌথ এক পরিকল্পনা। মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছে, গাজার ২০ লাখ বাসিন্দাকে অস্থায়ীভাবে বাইরে সরানোর একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন কর্মকর্তাদের হাতে থাকা নথির তথ্য অনুযায়ী প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে “গ্রেট” (Gaza Reconstitution, Economic Acceleration, and Transformation)। এর আওতায় গাজার বাসিন্দাদের মিশর, কাতারসহ কয়েকটি দেশে আশ্রয় দেওয়া হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তত চার বছর তারা দেশছাড়া হয়ে থাকতে পারেন। এই সময়ে ভাড়া ভর্তুকি, নগদ অর্থ ও ডিজিটাল টোকেনের মাধ্যমে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে। এক বছরের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও থাকবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে গাজাকে একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র এবং স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা হবে স্কুল, হাসপাতাল, শিল্পকারখানা, সবুজ এলাকা ও নতুন আবাসন। জমির মালিকরা পরবর্তীতে ডিজিটাল টোকেনের বিনিময়ে সেই আবাসনে ফ্ল্যাট পাবেন।

তবে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মার্কিন সরকারের অর্থ ব্যয় হবে না। বিনিয়োগ আনতে আহ্বান জানানো হবে বিশ্বের ধনকুবেরদের কাছে। সর্বনিম্ন ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের শর্ত রাখা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজায় বৈদ্যুতিক যানবাহন, বিমানঘাঁটি, ডেটা সেন্টার ও বহুতল আবাসন তৈরি হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজার সাধারণ মানুষ কতটা উপকৃত হবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অনেকের অভিযোগ, গাজার মানুষের দুর্দশাকে কাজে লাগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের পথ তৈরি করছেন।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট