সুদানে সেনাবাহিনী ও একটি আধাসামরিক গোষ্ঠীর মধ্যকার ভয়াবহ সংঘর্ষে মাত্র এক মাসে ২৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে এক মেডিকেল গ্রুপ। খবর—আরব নিউজ।
গ্রুপটির তথ্য অনুযায়ী, কর্দোফান অঞ্চলে অপুষ্টিজনিত কারণেই ২৩ শিশুর মৃত্যু ঘটে। ৩০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই ধ্বংসাত্মক সংঘাতের মধ্যে দেশটিতে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ায় মানবিক বিপর্যয় আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
সুদানে অস্থিরতা শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে, যখন সেনাবাহিনী ও শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব সরাসরি সশস্ত্র সংঘর্ষে রূপ নেয় রাজধানী খার্তুমসহ বিভিন্ন অঞ্চলে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। দীর্ঘ এই সহিংসতা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে; যেখানে অন্তত ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন, রোগবালাই বেড়েছে এবং বহু এলাকা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষুধা বিশেষজ্ঞদের হিসাবে, সেপ্টেম্বরে কর্দোফান ও পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষে ভুগছেন, আর আরও ৩৬ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের এক ধাপ আগে অর্থাৎ গুরুতর খাদ্য-অনিরাপত্তার মুখে আছেন।
শিশু মৃত্যুর পেছনে তীব্র অপুষ্টি ও পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবকে দায়ী করা হয়েছে।
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক—যা সংঘাত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী পেশাদারদের একটি সংগঠন—জানিয়েছে, ২০ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে অবরুদ্ধ কাদুগলি ও ডিলিং শহর থেকে এই শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।