চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষাপটে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, বিশেষ করে দ্বৈত নাগরিকত্বধারীদের ইরান ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “ইরানে এখনো মার্কিন নাগরিকদের নির্বিচারে আটক রাখার প্রবণতা রয়েছে। দ্বৈত নাগরিকদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি, কারণ তারা গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং দীর্ঘদিন আটকের শিকার হতে পারেন।”
তিনি জানান, বর্তমানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অন্তত তিনজন মার্কিন নাগরিক ইরানে বন্দি রয়েছেন। যদিও এসব অভিযোগকে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। গত ২২ জুন, যুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়—নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহান। ইরান স্বীকার করেছে, এসব হামলায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জবাবে ইরান মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তবে পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কূটনৈতিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, পারমাণবিক ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি চলছে। যদিও এখনও সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ হয়নি।
অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনার উদ্যোগ ইরানের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “আলোচনা শুরুর জন্য প্রথম শর্ত হলো—পারস্পরিক সম্মান এবং সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।”
এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ইরান ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তথ্যসূত্র : শাফাক নিউজ