ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে চুক্তিতে না এলে রাশিয়ার ওপর ‘খুবই চড়া’ সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১৪ জুলাই) হোয়াইট হাউজে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন।
বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমি রাশিয়ার ওপর একেবারেই খুশি নই। যুদ্ধ থামাতে এখনই চুক্তি দরকার। রাশিয়া যদি আগামী ৫০ দিনের মধ্যে চুক্তি না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শতভাগ সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করা হবে।”
তিনি বলেন, এই শুল্ক শুধুমাত্র রাশিয়ার ওপরই নয়, বরং তাদের ব্যবসায়িক অংশীদারদের উপরেও প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ যেসব দেশ রাশিয়ার রপ্তানি পণ্য, বিশেষ করে জ্বালানি, আমদানি করে, তাদেরও এই শুল্কের আওতায় আনা হবে।
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে চীন, ভারত, তুরস্ক ও ব্রাজিলের ওপর। কারণ এসব দেশ রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানির বড় ক্রেতা হিসেবে পরিচিত। সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করা হলে এসব দেশের আমদানি ব্যয় অনেক বেড়ে যেতে পারে, যা বৈশ্বিক বাজারেও প্রভাব ফেলবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, “আমি ভেবেছিলাম কয়েক মাস আগেই চুক্তি হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি, তাই পুতিনকে নিয়ে আমি হতাশ।”
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যদি সময়সীমার মধ্যে কোনো চুক্তিতে না আসে, তাহলে সেপ্টেম্বর থেকেই শুল্ক কার্যকর করা হতে পারে।
এটি প্রথম নয়, এর আগেও চলতি বছরের মার্চে ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, “যদি মনে করি রাশিয়ার কারণে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি হচ্ছে না, তাহলে রাশিয়ার তেল রপ্তানির ওপর কঠোর শুল্ক বসাবো।”
তবে এবার ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্ক ঠিক কোন কোন পণ্যের ওপর কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।