ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেখানে-ই থাকুক না কেন হামাসের শীর্ষ নেতারা রেহাই পাবে না, এমন ইঙ্গিত আবার দিয়েছেন তিনি।

সোমবার জেরুজালেমে মার্কিন সেনেটর মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। সংবাদ সূত্র: বিবিসি।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, প্রতিটি দেশেরই তার নাগরিক ও সীমান্ত রক্ষার অধিকার রয়েছে এবং সে আইনি অধিকার অনুযায়ী ইসরায়েলকে প্রতিরোধের পথে সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার আছে , এমনমানেই তার বক্তব্যের সারমর্ম বলা যায়।

তবে গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বায়ুবাহিনী অভিযান চালানোর পর বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনা দেখা দেয়। ওই অভিযানে ছয় জন নিহত হন; তবে হামাসের শীর্ষনেতাদের গুরুতরভাবে আঘাত লাগেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অভিযানের পর প্রশ্ন ওঠে—এই আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব ছিল কি না। নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের জানান, ইসরায়েল স্বাধীনভাবে ওই অভিযান চালিয়েছে।

মার্কো রুবিও এই প্রসঙ্গে বলেন, আল-উইস্থা (উপসাগরীয়) মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককেই তারা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুত। একই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন যে, কাতারে আর হামলা চালাবে না ইসরায়েল; এছাড়া তিনি এ হামলাকে সমালোচনা করে বলেন, এটি ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে এগিয়ে নেবে না।

আইনি ও কূটনীতিক প্রভাবে ব্যাপক চাপ ও সমালোচনার মধ্যেই, কাতার তার আরব ও মুসলিম মিত্রদের সঙ্গে সমর্থন জোরদার করেছে। দোহায় সোমবার অনুষ্ঠিত জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আরব-মুসলিম নেতারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দ্বিমুখী নীতি ত্যাগের আহ্বান জানানোয় কাতারের প্রধানমন্ত্রীও ইসরায়েলকে শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেন।