ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন জুমার নামাজের খতিব আয়াতুল্লাহ আহমাদ খাতামি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবারও যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে, তবে তেলআবিবকে একটি জনশূন্য ‘ভুতুড়ে শহরে’ পরিণত করা হবে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) জুমার খুতবায় তিনি বলেন, ইরানকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিনের, তবে শত্রুরা এখন আরও মরিয়া, কারণ তারা নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে দেখছে। তিনি বলেন, ইরান নানা চাপের মাঝেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলবিরোধী মতপ্রকাশের প্রসারকে তিনি তেহরানের বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রতিফলন বলে মনে করেন। তিনি আরও দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি—কাতারের আল-উদেইদে হামলা চালিয়েছে।

খাতামি বলেন, ইসরায়েল একটি বিপজ্জনক অস্তিত্ব, যা অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে যদি সময়মতো এটি প্রতিহত না করা হয়।

তিনি বলেন, এই সংঘাত ইরানের শুরু করা নয়, তবে যখন হামলা হয়েছে, ইরান তা প্রতিরোধ করেছে উপযুক্ত জবাব দিয়ে। খাতামির ভাষ্যমতে, ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় টানা ১২ দিনের হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে। এর জবাবে ইরানের আইআরজিসি ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ চালিয়ে ইসরায়েলের দখলকৃত শহরগুলোতে পাল্টা হামলা করে।

এছাড়া, আমেরিকার ওই হামলার পাল্টা জবাবে ইরান পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি—কাতারের আল-উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

যদিও ২৪ জুন থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে, তবে আয়াতুল্লাহ খাতামি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতি ভাঙলে ইসরায়েলের রাজধানী জনমানবশূন্য ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।

এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় অভিযোগ করেন—সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশটি কমপক্ষে ২৫টি দেশে সরাসরি বা পরোক্ষ আগ্রাসন চালিয়েছে, যা ইতিহাসে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এজন্য ‘আমেরিকার মৃত্যু হোক’ স্লোগান ইরানিদের হৃদয়ে আজও বেঁচে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি