ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোপালে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত এক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় পত্রিকা দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই হামলার শিকার হন রেলওয়ে পুলিশের হেড কনস্টেবল নজর দৌলত খান।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ২টার দিকে ভোপালের রানি কমলাপতি রেলস্টেশনে (পূর্বের নাম হাবিবগঞ্জ স্টেশন) এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হেড কনস্টেবল নজর দৌলত এবং তার দল দোকান ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করতে স্টেশন চত্বরে গিয়েছিলেন। সে সময় নজর দৌলত একটি থেমে থাকা গাড়ির মধ্যে একদল তরুণকে মদ্যপান করতে দেখেন। তিনি ওই তরুণদের চলে যেতে বললে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে মদ্যপ ওই তিন তরুণ পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা নজর দৌলতের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলেন ও ধর্মীয় অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়- হামলাকারীরা পুলিশের জিপের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে নজর দৌলতকে মারধর করছেন। সন্দীপ ও কমল রঘুবংশী নামের নজর দৌলতের অন্য দুই সঙ্গী কনস্টেবল তাকে বাঁচাতে হস্তক্ষেপ করলে অভিযুক্ত তরুণদের একজন বলেন, তোমরা হিন্দু ভাই, তোমরা এখান থেকে সরে যাও।
উপ-পরিদর্শক রামদয়াল জানিয়েছেন, হামলায় জড়িত তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে জিতেন্দ্র যাদব নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর দুই অভিযুক্ত এখনো পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসের পর থেকে, সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ধর্মীয় স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলার পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আর গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারতজুড়ে মুসলিম বিদ্বেষ নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। তবে ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে একজন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম ঘটলো।