সিরিয়ার কয়েকটি স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর অবশেষে ‘যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে তেলআবিব সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত টম ব্যারাক। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে ব্যারাক বলেন, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি তুরস্ক, জর্ডান এবং আশপাশের অন্যান্য দেশগুলোর সমর্থন পেয়েছে। তবে সিরিয়া কিংবা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

টম ব্যারাক আরও বলেন, আমরা সিরিয়ার দ্রুজ, বেদুইন ও সুন্নি সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অস্ত্র নামিয়ে রেখে পারস্পরিক শান্তি ও সহাবস্থানের পথে এগিয়ে যায়।

এর আগে, বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে এবং দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার বিষয়ে তেলআবিব জানায়, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে এবং অঞ্চল থেকে সরকারি বাহিনী প্রত্যাহার না করার জবাবে।

বাশার আল-আসাদের শাসনকালজুড়েই সিরিয়ায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লেগে আছে। বিশেষ করে দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর বিরোধ বেশ তীব্র। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (SOHR) জানায়, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩০০ জনই দ্রুজ জনগোষ্ঠীর সদস্য।

অন্যদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বুধবারের হামলার পর এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় সুয়েইদা অঞ্চল থেকে সরকারি বাহিনী প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, তাঁর সরকার দ্রুজ প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে একটি নতুন যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে।