ইন্দোনেশিয়ায় শিক্ষার্থীরা আইনপ্রণেতাদের বাড়তি আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্রতিবাদে গত সপ্তাহ থেকে বিক্ষোভ শুরু করছে। এতে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদারও করেছে সরকার। খবর আল জাজিরা।

সংসদ সদস্যদের আবাসন ভাতা ন্যূনতম মজুরির প্রায় ১০ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির সরকার। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুর হয়। বিক্ষোভের মুখে এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো।

বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে ওই দিন স্থানীয় সময় গভীর রাতে দেশটির আধাসামরিক পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় আফান কুর্নিয়াওয়ান নামে ২১ বছর বয়সী এক ডেলিভারি ড্রাইভারের মৃত্যু ঘটে। এর ফলে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে।

জাকার্তা ছাড়িয়ে অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার ইন্দোনেশিয়াজুড়ে আরো সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ রাজধানীজুড়ে চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। অন্যদিকে পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী শহরব্যাপী টহল দিচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্নাইপার মোতায়েন করা হয়েছে।

জাকার্তায় সংসদ ভবনের বাইরে এবং জাতীয় পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হওয়া কথা রয়েছে।

জাকার্তার স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি জাকার্তায় সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, চলমান সহিংস বিক্ষোভের কারণে চীন সফর বাতিল করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। চলমান অস্থিরতা মোকাবিলায় তিনি নিজেই দেশে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সমাধানে নেতৃত্ব দিতে চান বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই বিক্ষোভ সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সহিংস।