টাইমস অব ইসরাইল, আল-জাজিরা: আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে করা গণহত্যা মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের প্রধান জেইন ড্যাঙ্গর এক কঠোর বিবৃতি প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বের চোখের সামনে ফিলিস্তিনীদের উপর নৃশংসতা, নিপীড়ন ও গণহত্যা চালানো হচ্ছে। ড্যাঙ্গর অভিযোগ করেন, ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেও দায়মুক্তি উপভোগ করছে। তার ভাষায়, ইসরাইল এমনভাবে কাজ করে যাচ্ছে যেন আন্তর্জাতিক আইন ও মানদ- থেকে একধরনের ব্যতিক্রমী ছাড় পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো দেশ বা সংস্থা ইসরাইলের অবৈধ ও অমানবিক কার্যক্রমের জন্য তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায়, তাদের উপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ও চাপ প্রয়োগ করা হয়। জেইন ড্যাঙ্গরের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান যেখানে তারা গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে তুলে ধরছে এবং এর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করছে। এ শুনানিতে অংশ নেয়নি ইসরাইল। মামলাটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যা দিয়ে তারা এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। শুনানিতে সৌদি আরবের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাউদ আলনাসও কঠোর বিবৃতি প্রদান করেছেন, যেখানে তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজায় ইসরাইলের ‘আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ জানিয়েছেন, ইসরাইল তখনই যুদ্ধ থামাবে যখন সিরিয়া ‘ধ্বংস’ হবে, হিজবুল্লাহ ‘ভয়ংকরভাবে পরাজিত’ হবে, ইরান তার ‘পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য হবে’ এবং গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা ‘উপত্যকা থেকে সরে যাবে’। প্রসঙ্গত, নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিজের সদরদপ্তরে সোমবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়। গাজায় গণহত্যার অভিযোগে মামলাটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচদিন চলবে এর শুনানি।