ব্লুমবার্গ, রয়টার্স: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিতর্কিত উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির (ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট) কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সংস্থাটির বিলুপ্তির দায়িত্ব ব্যবস্থাপনা ও বাজেট কার্যালয়ের (অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট বা ওবিএম) হাতে তুলে দেওয়ার কথা গত শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, ইউএসএআইডি বহু আগেই পথ হারিয়ে ফেলেছে। সংস্থাটির মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মসূচি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করে আনুষ্ঠানিকভাবে এর বিলুপ্তির শেষ ধাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন চূড়ান্ত পরিণতির দায়িত্ব নেবেন ওবিএমের পরিচালক রাস ভট। বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য মার্কিন সহায়তার প্রতীক হয়ে ওঠা সংস্থাটি এখন ওবিএমের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্তির অপেক্ষা করছে। চলতি বছর জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজের মসনদে ফিরে ইউএসএআইডির ওপর খড়্গহস্ত হন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরকার পরিচালিত বৈদেশিক সহায়তা সংস্থাটির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ, চরমপন্থি উন্মাদদের পরিচালিত সংস্থাটি নজিরবিহীন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। রক্ষণশীল মার্কিন রাজনীতিবিদরা বরাবরই ইউএসএআইডির বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে উদারপন্থি (লিবারেল) অ্যাজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। উল্লিখিত অভিযোগ এবং সরকারি অর্থ সাশ্রয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইউএসএআইডির হাজারো কর্মীকে বরখাস্ত হয়েছেন বা বাধ্যতামূলক ছুটিতে আছেন। এছাড়া, শত শত কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল বা স্থগিত রাখা হয়। তহবিল স্থগিতের প্রতি ইঙ্গিত করে এক্স স্ট্যাটাসে রুবিও লিখেছেন, জানুয়ারি থেকে আমরা করদাতাদের শত শত কোটি ডলার বাঁচিয়ে দিয়েছি। এদিকে, সংস্থাটি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী একাধিক মামলা রুজু করা হয়।