দ্য ইকোনমিস্ট, নিরা ডেটা : মর্যদা সংকটে দেশে দেশে মার্কিন পণ্য বয়কটের হিড়িক পড়েছে। বিশ্বজুড়ে দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকার সাংস্কৃতিক প্রভাব ব্যবসা সম্প্রসারণে দেশটির কোম্পানিগুলোকে বড় ধরনের সহায়তা করেছে। এর একটি উদাহরণ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সেটি হচ্ছে- বার্লিন ওয়াল ভাঙার পর কোকা-কোলার লোগো খচিত লরিতে করে বিনামূল্যে পানীয় বিতরণ সেই সময়ের প্রতীকী ঘটনা হয়ে ওঠে। পূর্ব বার্লিনে হাজার হাজার মানুষ কোকা-কোলার বোতল হাতে নিয়ে মার্কিন পুঁজিবাদের স্বাদ গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই অঞ্চলে কোকা-কোলার বিক্রিও দ্রুত বাড়ে।

তবে এখন সেই ‘আমেরিকানা’ বিদেশে বিক্রি করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। গত মাসে ডেনমার্কে কোকা-কোলা বয়কট শুরু হয়। দেশটির স্থানীয় বিকল্প ‘জলি কোলা’র প্রতি ঝুঁকছে অনেকেই। কোকা-কোলার এই সংকটের পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড। গ্রিনল্যান্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী বক্তব্য, অগোছালো বাণিজ্যনীতি ও ‘সম্প্রসারণবাদী’ মনোভাব বিশ্বের অনেক দেশেই আমেরিকার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বাড়িয়েছে।

মার্কিন ব্র্যান্ড বয়কটের হিড়িক : এই নেতিবাচক মনোভাব এরই মধ্যে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বৈদেশিক বিক্রয়ে প্রভাব ফেলছে। কানাডায় ক্ষোভ সবচেয়ে তীব্র বিশেষ করে ট্রাম্প দেশটিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য’ বানাতে চাওয়ার পর থেকে। এক জরিপে দেখা গেছে, ৬১ শতাংশ কানাডীয় নাগরিক আমেরিকান পণ্য বর্জন করছেন। অন্টারিও ও কুইবেক প্রদেশে সরকার-চালিত মদের দোকান থেকে আমেরিকান ব্র্যান্ডের অ্যালকোহল সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যার ফলে জ্যাক ড্যানিয়েলস-এর মতো ব্র্যান্ডগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কানাডার বাজারে টিকে থাকতে ক্রাফট হেইঞ্জ কোম্পানি জানাচ্ছে, তাদের পণ্যের বড় অংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত। ডেনমার্কেও দেখা যাচ্ছে একই প্রবণতা।