আমেরিকা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি
ইউক্রেন পুনরায় পাচ্ছে সামরিক সহায়তা
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করতে কিয়েভ রাজি হওয়ার পর মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটন এই সিদ্ধান্ত নেয়।
Printed Edition
১২ মার্চ, রয়টার্স : ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করতে কিয়েভ রাজি হওয়ার পর মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটন এই সিদ্ধান্ত নেয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তারা এখন রাশিয়ার কাছে প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করবে। পুরো খেলা এখন মস্কোর হাতে। জেদ্দায় আট ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার দিক থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ইতিবাচক সাড়া পাবো বলে আমরা আশাবাদী। এরপর আমরা আসল সমঝোতা শুরু করতে পারব।
সৌদি আরবে আয়োজিত বৈঠকের জন্য উপস্থিত থাকলেও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেননি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব কেবল আকাশ ও নদীপথ নয় সমগ্র যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রযোজ্য। তিন বছর আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পূর্ণ সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ২০১৪ সালে দখল করে নেওয়া ক্রিমিয়াসহ এখন ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ক্রেমলিনের দখলে রয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র যত দ্রুত সম্ভব সমঝোতায় আসতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন রুবিও। তিনি বলেছেন, যত দিন যাচ্ছে, এই যুদ্ধের কারণে প্রাণহানির সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলমান সংঘাতের কারণে দুপাশেই মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। অবশ্য এখন পর্যন্ত রাশিয়ার মনোভাব নিয়ে সামান্যতম কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত হলেও তিনি ও তার কূটনীতিবিদরা বরাবরই জানিয়ে আসছেন, তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নন। তিনি রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার স্বার্থে একটি চুক্তি করতে চান। এছাড়া তার দাবি, রাশিয়ার দখলে থাকা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে হবে। মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তাদের বিবেচনাধীন রয়েছে।