ইন্টারনেট : কঠোর ও বিতর্কিত নতুন নীতির আওতায় যুক্তরাজ্য সরকার এখন থেকে আরও ১৫টি দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিকদের মানবতাবাদী আপিল সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই নির্বাসিত করবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হবে বলে দাবি করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেত কুপারের নেতৃত্বে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো অভিবাসন ব্যবস্থার কথিত ‘অপব্যবহার’ বন্ধ করা। এর মাধ্যমে অপরাধীরা আপিলের সুযোগ নিয়ে বছরের পর বছর যুক্তরাজ্যে থাকার সুযোগ পাবে না।
এই নীতি সম্প্রসারণের ফলে ভারতসহ মোট ১৫টি দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশি অপরাধীদের তাদের মানবতাবাদী আপিলের শুনানি সম্পন্ন হওয়ার আগেই নির্বাসিত করা হবে।
এর আগে মাত্র আটটি দেশের ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য ছিল। এখন এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারত, বুলগেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, ব্রুনাই, কানাডা, গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাটভিয়া, লেবানন, মালয়েশিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া।
এই নীতির অধীনে যেসব অপরাধীর মানবতাবাদী আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে নির্বাসিত করা হবে। পরবর্তী যেকোনো আপিল ভিডিও লিংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে সম্পন্ন করতে হবে। এর উদ্দেশ্য হলো আদালতের দীর্ঘসূত্রিতা এবং নির্বাসনে বিলম্ব দূর করা।
যদিও বর্তমানে এই তালিকায় বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে ভারতসহ অন্যান্য কমনওয়েলথ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা ব্রিটিশ অভিবাসন নীতির একটি বড় পরিবর্তন নির্দেশ করে। এই কঠোর নীতি গ্রহণের পেছনে সরকারের অন্যতম কারণ হলো ছোট নৌকায় করে হাজার হাজার অভিবাসীর আগমন ঠেকানো। চলতি বছরে এই সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে, যা কারাগারগুলোতে স্থানের সংকট তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের এই আগ্রাসী নির্বাসন নীতির সরাসরি প্রভাব এরই মধ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির ওপর পড়তে শুরু করেছে। গত বছর মে মাসে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার মাধ্যমে যেসব ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে থাকার বৈধ অধিকার নেই, তাদের নির্বাসন প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।
এর মধ্যে ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থী এবং দণ্ডপ্রাপ্ত বিদেশি নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত।