এএফপি, দ্য ডেইলি গার্ডিয়ান : আবারও প্রথা ভেঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনয়ন দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদের বদলে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী সার্জিও গোরকে বেছে নিয়েছেন তিনি। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে গত শুক্রবার তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলে আমার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং আমাদের স্বার্থ রক্ষায় এমন কাউকে প্রয়োজন, যার ওপর আমি পুরো আস্থা রাখতে পারি। সার্জিও অসাধারণ একজন রাষ্ট্রদূত হবে। ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি সার্জিও গোর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিশেষ প্রতিনিধির দায়িত্বও পালন করবেন। ৩৮ বছর বয়সী গোর দ্রুত রক্ষণশীল রাজনীতিতে উত্থান ঘটিয়ে হোয়াইট হাউজে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। তিনি প্রায় চার হাজার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যাচাই করার দায়িত্বে ছিলেন, যাতে তারা ট্রাম্পের প্রতি সর্বোচ্চ অনুগত থাকেন।

ট্রাম্পের ঘোষণায় প্রায় তাৎক্ষণিক সমর্থন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের মাটিতে সার্জিও গোর একজন চমৎকার মার্কিন প্রতিনিধি হবেন। সার্জিও এমন সময় ভারতে মার্কিন স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, যখন শুল্ক নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে শীতলতা বিরাজ করছে। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক করেছে ভারত। ধারাবাহিকভাবে মার্কিন প্রশাসনগুলো ভারতকে চীনের পাল্টা ভারসাম্য হিসেবে দেখেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত। গোরের বিরোধীদের মধ্যে রয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে যাওয়ার পর গোরকে 'সাপ' বলে বসেন মাস্ক।