আরটি : বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। বেইজিং অভিযোগ করেছে যে ওয়াশিংটন সর্বশেষ বাণিজ্য চুক্তি গুরুতর লঙ্ঘন করেছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন।

গত ১২ মে জেনেভায় যুগান্তকারী আলোচনার পর একটি চুক্তি ঘোষিত হয়েছিল, যেখানে দুই দেশ এপ্রিলের শুরু থেকে আরোপিত বেশিরভাগ নতুন শুল্ক স্থগিত করতে সম্মত হয়েছিল।

সোমবার চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব পথে চলতে থাকে এবং চীনের স্বার্থের ক্ষতি করতে থাকে, তাহলে চীন তার বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও জোরালো পদক্ষেপ নিতে থাকবে। মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, হোয়াইট হাউস চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে তাদের সাম্প্রতিক কথোপকথনে পৌঁছানো ঐকমত্য লঙ্ঘন করেছে।

চীন যুক্তরাষ্ট্রের যে পদক্ষেপগুলোর তালিকা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে হুয়াওয়ে চিপ ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা, চীনা কোম্পানিগুলোর কাছে চিপ ডিজাইন সফটওয়্যার বিক্রি স্থগিত করা এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা।

অন্যদিকে, গত শুক্রবার ট্রাম্প চীনা সরকারের বিরুদ্ধে চুক্তি সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করার অভিযোগ এনেছিলেন, যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি আরও যোগ করেছেন যে শুল্কের কারণে চীন মারাত্মক অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে ছিল, তার পরেই ওয়াশিংটন দ্রুত চুক্তি নিয়ে এগিয়ে আসে।